কিভ: রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ পা রেখেছে ১৫তম দিনে Russia Ukraine Conflict)। কিন্তু তাঁদের মাথা নোয়াতে হবে না, রাশিয়া সরকার তথা দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) নিজে থেকে সমঝোতা করতে এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। এর আগে ন্যাটোয় (NATO) যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। তখনই বরফ গলার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জেলেনস্কি পুতিনের সঙ্গে সমঝোতার কথা বলায় সেই জল্পনা আরও জোর পেয়েছে।
শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়ে যাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। কিভে নিজের ঠিকানা প্রকাশেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। বুধবার কিভের সেই ঠিকানা থেকেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুথি হন তিনি। সেখানে বলেন, “যে ভাবে ইউক্রেনীয় সেনার প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রুশ সেনা, তাতে ভ্লাদামির পুতিন বুঝেছেন যে ক্ষমতায় কম যাই না আমরা। তাই আমার মনে হয়, উনি সমঝোতায় এগিয়ে আসবেন। শুধু আরও একটু সময় চাই আমাদের।”
পরস্পরকে চোখরাঙানি বা শাসানি নয়, আলোচনাই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর একমাত্র পথ বলেও মন্তব্য করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, “যুদ্ধ কী ভাবে থামানো সম্ভব? আলোচনাই একমাত্র উত্তর।” পুতিনকে বার্তা দিতে হলে কী বলবেন জানতে চাওয়া হয় জেলেনস্কির কাছে। জবাবে তিনি বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ করুন। আলোচনা শুরু করুন। আর কোনও পথ নেই।”
আরও পড়ুন: Russia Ukraine Crisis : ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া, সতর্কবার্তা আমেরিকার
মিনস্ক চুক্তির রূপায়ণ এবং ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি নিয়েই বরাবর সরব রাশিয়া এবং পুতিন। ইউক্রেনে সেনা নামানোর পিছনেও এই দুই যুক্তিই খাড়া করা হয় মস্কোর তরফে। পুতিন জানান, ইউক্রেনকে বোড়ে করে আসলে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে চাইছে পশ্চিমি দেশগুলি। দীর্ঘদিন ঘরে তার বিরোধিতা করে লাভ না হওয়াতেই সেনা নামাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তার পর ১৫ দিনে পা রেখেছে যুদ্ধ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি ঘটেছে ইউক্রেনে। রাশিয়ার তরফেও প্রচুর সৈনিক মারা গিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যুদ্ধ সরঞ্জামের।
তাতে পেট্রল, ডিজেল, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু রাশিয়ার উপর চাপসৃষ্টির বার্তা দিলেও ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করা বা তাদের যুদ্ধবিমান সরবরাহে আপত্তি রয়েছে তাদের। তা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন জেলেনস্কি খোদ। তাই পুতিনের সঙ্গে সমঝোতার যে বার্তা দিলেন জেলেনস্কি, তা যথেষ্ট অর্থবহ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।