ব্রাসেলস : যুদ্ধের ৫ দিনের মাথায় ইউক্রেনকে সাহায্য ন্যাটোর। রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia and Ukraine) বৈঠকের মাঝেই ট্যুইট ন্যাটো (NATO) প্রধানের। "রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় পাঠানো হচ্ছে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল। ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্রও দিচ্ছে ন্যাটো। ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে", ট্যুইটারে জানালেন ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ।
যুদ্ধের মধ্যেই বেলারুশ সীমান্তে আলোচনা শুরু করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। আলোচনা শুরু করেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেইকসি রেজনিকোভ। এর আগে ইউক্রেন বেলারুশের কাছে রাশিয়ার সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছিল ইউক্রেন। কারণ, এখানে সীমান্তের কাছেই মোতায়েন রয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেন সরকারের সূত্র অনুযায়ী, মস্কোর সঙ্গে এই আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার।
আরও পড়ুন ; 'অপারেশন গঙ্গা'-য় ২৪০ জন ভারতীয়কে নিয়ে ফিরছে ষষ্ঠ বিমান
গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর ইউক্রেনে আক্রমণ চালায় রাশিয়ার সেনা বাহিনী। সেই আক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দুই দেশ আলোচনার টেবিলে বসেছে। এখনও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।
আলোচনা শুরুর আগে ক্রেমলিন তাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান সম্পর্কে আগাম কিছু জানায়নি। আজ পঞ্চম দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আলোচনা শুরুর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা আলোচনা শুরুর অপেক্ষায় রয়েছি। আমি আলোচনার ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কী হবে, তা এখনও জানাতে চাই না।
উল্লেখ্য, চলতি যুদ্ধের মধ্যেই উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে রুশ প্রেডিসেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিরক্ষা প্রধানদের পরমানু অস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনীকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরইমধ্যে ইউক্রেন বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছিল।