Russia-Ukraine War:  যুদ্ধের মধ্যেই বেলারুশ সীমান্তে আলোচনা শুরু রাশিয়া ও ইউক্রেনের। আলোচনা শুরু করেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেইকসি রেজনিকোভ। এর আগে ইউক্রেন বেলারুশের কাছে রাশিয়ার সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছিল ইউক্রেন। কারণ, এখানে সীমান্তের কাছেই মোতায়েন রয়েছে রুশ বাহিনী। 


ইউক্রেন সরকারের সূত্র অনুযায়ী, মস্কোর সঙ্গে এই আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার। 


গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর ইউক্রেনে আক্রমণ চালায় রাশিয়ার সেনা বাহিনী। সেই আক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দুই দেশ আলোচনার টেবিলে বসল। এখনও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।


আলোচনা শুরুর আগে ক্রেমলিন তাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান সম্পর্কে আগাম কিছু জানায়নি। আজ পঞ্চম দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আলোচনা শুরুর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা আলোচনা শুরুর অপেক্ষায় রয়েছি। আমি আলোচনার ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কী হবে, তা এখনও জানাতে চাই না। 


উল্লেখ্য, চলতি যুদ্ধের মধ্যেই উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে রুশ প্রেডিসেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিরক্ষা প্রধানদের পরমানু অস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনীকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরইমধ্যে ইউক্রেন বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছিল। 


এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আলোচনার আগে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করুক রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়েছিল রাশিয়া। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের দাবি, রুশ হামলায় এখনও পর্যন্ত ১০২ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে সাত শিশুও।


বৈঠকের আগে বেলারুশের বিদেশমন্ত্রী ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিদিদলকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, প্রিয় বন্ধুরা, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আমাকে আপনাদের স্বাগত জানাতে এবং আপনাদের কাজ যতটা সম্ভব সহজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কেননা, এই আলোচনা শুরুর ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও প্রেসিডেন্ট পুতিন-উভয়েই সহমত। এ জন্য আপনারা নিজেদের সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত অনুভব করতে পারেন। এটি আমাদের পবিত্র কর্তব্য়।