ওয়াশিংটন: রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে তছনছ হয়ে গিয়েছে গোটা ইউক্রেন (Russia Ukraine War)। কিন্তু কম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি রাশিয়ারও। গত দু’সপ্তাহে ২ থেকে ৪ হাজার রুশ সৈনিক (Russian Army Casualty) মারা গিয়েছেন বলে এ বার দাবি করল আমেরিকা। দফায় দফায় আলোচনা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী ভাবে যুদ্ধবিরতি যখন অধরা, সেই সময় পরিসংখ্যান উঠে এল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকার হাউস অফ ইনটেলিজেন্সে কমিটির বিশেষ শুনানিপর্ব চলছিল। ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানির হিসেব নিকেশ তুলে ধরা হচ্ছিল সকলের সামনে। সেখানেউ পেন্টাগনের (Pentagon Estimation) ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল স্কট বেরিয়ার রাশিয়ার তরফে ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি জানান, ‘‘২ থেকে ৪ হাজার রুশ সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে বলে রিপোর্ট মিলেছে।’’
গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত এবং অন্যত্র থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়েই এই পরিসংখ্যানে পৌঁছনো গিয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। তবে আগামী দিনে তাতে ওঠানামা হতে পারে বলেও জানিয়ে রেখেছে তারা। এক সপ্তাহ আগে যদিও ৪৯৮ সৈনিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল রাশিয়া। তবে বাস্তবে সংখ্যা আরও বেশি বলে সেই সময়ই দাবি করে ইউক্রেন।
আমেরিকার সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স বিভাগের ডিরেক্টর উইলিয়াম বার্নসের মতে, ইউক্রেনে সেনা অভিযানের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) ব্যক্তিগত অহঙ্কার জড়িয়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ এবং উচ্চাকাঙ্খার মিশেলেই তিনি আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন বলে দাবি করেন বার্নস। আগামী দিনে ইউক্রেনের তরফেও হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা তাঁর।
মঙ্গলবারই রাশিয়া থেকে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বজানিয়েছেন, রাশিয়ার অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়াতেই এই পদক্ষেপ। তাঁর কথায়, ‘‘ইউক্রেনে কোনও মতেই জয়ী হতে পারবেন না পুতিন।’’ কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দাদের মতে, পুতিন নিষেধাজ্ঞায় কাবু হবেন, এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ তাঁর মত হল, এই যুদ্ধে কোনও ভাবেই হেরে যাওয়া চলবে না।