রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, বুদাপেস্ট : ইউক্রেন যুদ্ধের ২৬তম দিনেও অব্যাহত রুশ হামলা। লুহানস্কের ক্রেমিন্না শহরের একটি নার্সিংহোমে রুশ ট্যাঙ্কের হামলায় ৫৬ জন বয়স্ক আবাসিকের মৃত্যু হয়েছে। চারিদিকে যুদ্ধের ভয়াবহতা। তারই মাঝে এবিপি আনন্দ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দলে দলে মানুষ চলে আসছেন হাঙ্গেরিতে। একটু বাঁচার জন্য। নিজেদের ঘরদোর ছেড়ে। প্রিয়জন কে কোথায় আছেন, জানা নেই। বাসে করে আসছেন মহিলা ও শিশুরা। হাঙ্গেরিতে তাঁদের রাখা হয়েছে শরণার্থী শিবিরে। কোনও শিশুর হাতে পাঁউরুটির টুররো, কারও হাতে জল। কারও চোখ খুঁজছে বাবাকে। কিন্তু তার মা উত্তর দিতে পারছে না, বাবা কোথায়। আবার কবে দেখা হবে। বুদাপেস্টে যাঁদের পরিচিতরা আছেন, তাঁদের কাছে শরণার্থীদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বাসে করে। বাকিরা রয়ে যাচ্ছেন BOK শরণার্থী শিবিরেই। এ এক ভয়াবহ ছবি।
সুমি শহরে একটি কেমিক্যাল প্লান্টে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হওয়াকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজ চলছে। এদিকে, রাজধানী কিভে রাতভর রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হানা। বোমাবর্ষণে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মারিউপোলেও লাগাতার গোলাবর্ষণ চলছে। প্রাণ বাঁচাতে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই আশ্রয় নিচ্ছেন বহু মানুষ। আজকের মধ্যেই মারিউপোলে আত্মসমর্পণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। আত্মসমর্পণের প্রশ্নই নেই, পাল্টা জবাব ইউক্রেনের।
ইউক্রেনের মারিউপোলে রাশিয়ার হামলায় ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। অবরুদ্ধ লক্ষাধিক নাগরিক। এরই মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। ভলোদিমির জেলেনস্কি সরকারের অভিযোগ, মারিউপোলের বাসিন্দাদের একাংশকে পুতিনের সেনা জোর করে রাশিয়ার ভিতরে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গেছে। সেখানে তাঁদের চরম দুর্দশার মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। মারিউপোল থেকে যাঁরা বেরোতে পেরেছেন, তাঁদেরও অধিকৃত এলাকায় রাশিয়ার সেনা জোর করে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। এমনকী, ইউক্রেনের ওই বাসিন্দাদের খাবার ও জল দেওয়াও হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মারিউপোলের থিয়েটার ভবনে হাজারের বেশি মানুষ আটকে পড়েছেন।