কিভ :  সারা দেশ কার্যত ধ্বংসস্তূপ।  শহরের পর শহর যেন শ্মশান । প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুভয়। নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন মানুষ। এক শহর থেকে অন্য শহরে পালানো মানুষটা জানে না, তাঁর বাড়ির লোক বেঁচে আছে কি না। বোমা বিধ্বস্ত অ্যাপার্টমেন্টের উল্টোদিকে দেখা গেল একটি ছেলে কবর খুঁড়ছে। আর তাতে একের পর এক দেহকে সমাধিস্থ করছে সে। সবাই তার প্রতিবেশী। সবাই আজ মৃত। আজকের মধ্যেই মারিউপোল (Mariupol)  আত্মসমর্পণ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। আত্মসমর্পণের প্রশ্নই নেই, পাল্টা জবাব ইউক্রেনের ( Ukraine's President Volodymyr Zelensky ) 


 কেউ বা আবার ভাবছেন যে, তাঁর নিজের বাড়ি এখনও আছে কিনা ! দিনের পর দিন পরিবারগুলি হয়ত খাবার পায়নি। তারপর আর কদ্দিন তাঁরা বাঁচবে, প্রশ্ন অনেকের মনে। প্রাণ ভয়ে এদিন-ওদিক ছড়িয়ে পড়া মানুষগুলোর অনেকে জানেনই না বাকিরা কোথায় আছেন, কেমন আছেন। মারিউপোল কার্যত এখন ধ্বংসস্তূপ। অবিরত চলছে কবর খোঁড়া রাস্তার পাশেই। রুশ শেল বা গ্রেনেডে যাওয়া প্রাণগুলোকে রাস্তার পাশেই কবর দিচ্ছে প্রতিবেশিরা। কবর দিতে দিতে এক যুবক আবার জানালেন, সবাই কিন্তু রুশ আক্রমণে মারা যাননি। অনেকেই মারা গেছেন খাবার না পেয়ে, ওষুধ না পেয়ে। ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে। 


আরও পড়ুন :


ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে কৃষ্ণসাগরে নিহত রুশ নৌবহরের এক সিনিয়র কম্যান্ডারের, দাবি


ইউক্রেন (Ukraine)যুদ্ধের ২৬তম দিনেও অব্যাহত রুশ হামলা। লুহানস্কের ক্রেমিন্না শহরের একটি নার্সিংহোমে রুশ ট্যাঙ্কের হামলায় ৫৬ জন বয়স্ক আবাসিকের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধের ভয়াবহতার মাঝেই সুমি শহরে একটি কেমিক্যাল প্লান্টে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হওয়াকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজ চলছে। 


রাজধানী কিভে রাতভর রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হানা। বোমাবর্ষণে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, বন্দর শহর সেভাস্তোপোলে পাল্টা হামলায় মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরের এক সিনিয়র কম্যান্ডারের। মারিউপোলেও লাগাতার গোলাবর্ষণ চলছে। প্রাণ বাঁচাতে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই আশ্রয় নিচ্ছেন বহু মানুষ।