মস্কো: যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। বারবার আলোচনা করেও মিলছে না সমাধান সূত্র। এরই মধ্যে নতুন বার্তা দিল রাশিয়া। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ (sergey lavrov) বলেছেন, 'রাশিয়া যুদ্ধ চায় না। বর্তমান সঙ্কট শেষ করতে চায় রাশিয়া।' আলোচনার পরিস্থিতি যে রয়েছে, তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

  


ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা (Dmitry Kuleba) এবং তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী Mevlut Cavusoglu-র সঙ্গে আলোচনার পরেই এই বক্তব্য রাখেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। প্রয়োজনে ভোলোদিমির জেলেনস্কি (Vladimir Zelensky) এবং ভ্লাদিমির পুতিনের (vladimir putin) মধ্যে কী আলোচনা হতে পারে? এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি লাভরভ। 


যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনে (ukraine) আটকে পড়েছেন একাধিক বিদেশি নাগরিক। ভয়াবহ দুরবস্থা ইউক্রেনের নাগরিকদেরও। প্রাণ বাঁচাতে একাধিক পড়শি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন বহু নাগরিক। আগেই শরণার্থী সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড নেশন। যুদ্ধের কারণে কুড়ি লক্ষেরও বেশি বাসিন্দা ইউক্রেন ছেড়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে প্রচুর শিশুও। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিসও। 


যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ার (russia) বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আমেরিকা (USA)-কানাডা। একই সুরে সরব হয়েছে ফ্রান্স (france)-জার্মানিও। রাশিয়াকে রুখতে ঘুরপথে ইউক্রেনকে সাহায্য করেছে আমেরিকা ও ইউরোপের একাধিক দেশ। রাশিয়াকে আর্থিকভাবে ধাক্কা দিতে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে আমেরিকার তরফে। সুইফট (swift) ব্য়াঙ্কিং সিস্টেম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রাশিয়াকে। রাশিয়ার জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে আমেরিকা ও একাধিক দেশ। ইউক্রেনের হয়ে সেনা না নামালেও ইউক্রেনকে একাধিক সমরাস্ত্র দিয়ে লাগাতার সাহায্য করে এসেছে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা ও আরও একাধিক ইউরোপের দেশ। সংবাদ সংস্থার সূত্রে খবর, ইউক্রেনের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে ভাড়াটে সৈন্যও ঢোকাচ্ছে পশ্চিমী দুনিয়া। বারবার সংঘর্ষ বিরতি হলেও কোনওভাবেই থামছে না যুদ্ধ।


আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়ে মুখ খুললেন মোদি