কিভ: এবার পাল্টা আঘাত ইউক্রেনের। যুদ্ধে বেশ খানিকটা ক্ষতির মুখে রাশিয়া (Russia)। রাশিয়ার যে যুদ্ধজাহাজের উপর ইউক্রেন (Ukraine) হামলা চালিয়েছিল, সেটি শেষপর্যন্ত তলিয়ে গিয়েছে কৃষ্ণসাগরে। আরও বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে কৃষ্ণ সাগরে (Black Sea) থাকা রাশিয়ার নৌবাহিনীর। 


ইউক্রেনের দাবি:
তাদের হাতে থাকা নেপচুন মিসাইল (Missile) দিয়ে হামলা করা হয়েছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের উপর। তার জেরেই ধ্বংস হয়েছে সেটি। 


রাশিয়ার দাবি:
যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হওয়ার কথা মেনে নিলেও, ইউক্রেনের মিসাইল হামলার জন্য এমনটা হয়েছে তা মানতে নারাজ রাশিয়া। তাদের দাবি জাহাজে থাকা অস্ত্রের জন্য বিস্ফোরণ ঘটেছে।


নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা হুঁশিয়ারি:
যুদ্ধর শুরু থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে এসেছে আমেরিকা (USA)। একই পথে হেঁটেছে বিভিন্ন ইউরোপের দেশগুলিও। ইউরোপে জ্বালানির সিংহভাগ আসে রাশিয়া থেকে।  ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্যবহৃত গ্যাসের (natural gas) ৪০ শতাংশ এবং ব্যবহৃত তেলের (Oil) ২৫ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে। এবার সেখানেই কোপ বসানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। যা নিয়ে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার গ্যাস ও তেলের বিকল্প খুঁজতে গেলে ইউরোপকে বড়সড় মূল্য চোকাতে হবে। কারণ এই মুহূর্তে ইউরোপের হাতে সেরকম কোনও বিকল্প নেই বলে দাবি পুতিনের। অন্য দেশ থেকে, বিশেষ করে আমেরিকা থেকে তেল আনতে গেলে অনেক বেশি খরচ হবে ইউরোপের দেশগুলির। যার ফলে চাপ বাড়বে সেদেশের গ্রাহকদের উপর।     


নাভালনির টুইট:
বিভিন্ন সংবাদসংস্থা দাবি করেছিল, রাশিয়ার এই যুদ্ধ সমর্থন করেন না সেদেশের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ। সেই দাবি উড়িয়ে ক্রেমলিন একটি তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে দাবি করা হয় রাশিয়ার ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা এই যুদ্ধকে সমর্থন করে। এবার সেই তথ্যকে মিথ্যে বলে দাবি করলেন রাশিয়ায় পুতিনের অন্যতম বিরোধী মুখ আলেক্সেই নাভালনি (Alexei Navalny )। বিষয়টি ভুল তথ্য বলে দাবি করে টুইট করেছে তিনি।


 


আরও পড়ুন: জোড়া জ্বালানির গাড়ি? দারুণ চমক হোন্ডার নয়া হাইব্রিডে