কিভ: নয় নয় করে একমাস পার হয়ে গিয়েছে যুদ্ধের (Russia Ukriane War)। কিন্তু সবের নিরিখে এগিয়ে থেকেও, আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি রাশিয়ার। বরং ১৫ হাজার সৈনিক যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। অস্ত্রভাণ্ডারও শেষ হওয়ার পথে বলে শোনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধে ইতি টানতে রাশিয়ার তরফেই উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে এ বার দাবি ইউক্রেনের। তাদের দাবি, ৯ মে-র মধ্যে যুদ্ধে সমাপ্তি চায় রাশিয়া, দেশের সেনাবাহিনীকে (Russian Army) সে কথা ইতিমধ্যেই ক্রেমলিন জানিয়ে দিয়েছে বলে খবর।


দেশের গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে এমনই দাবি করছে ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, ৯ মে-র মধ্যে যুদ্ধ শেষ করতে চায় রাশিয়া। কারণ ৯ মে দিনটি বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের (Victory Against Nazi) বিরুদ্ধে বিজয় উৎসব হিসেবে পালন করে তারা। তাই বিজয় উৎসবে যাতে যুদ্ধের ছায়া না পড়ে, সে ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। দেশের সেনাবাহিনীকেও সে কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


যুদ্ধের একমাস


বেশ কয়েক মাস যাবৎ সীমান্ত সঙ্ঘাতের পর গত ২৪ মে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তার পর থেকে গত একমাস ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সাক্ষী গোটা বিশ্ব। হাজার হাজার মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির কোনও ইয়ত্তাই নেই। একই সঙ্গে এই যুদ্ধের ফলে গোটা ইউরোপ জুড়ে দেখা দিয়েছে শরণার্থী সঙ্কট।


আরও পড়ুন: Russia Ukraine Conflict: ৪ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিককে অপহরণ! রাশিয়ার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ, যুদ্ধাপরাধ তদন্তে সায়


এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে দুই দেশের মধ্যেই লাগাতার আলোচনা চলছে। কিন্তু বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েও এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের মাটি থেকে পিছু হটার কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছে না রাশিয়া। বরং ইউক্রেনের বুকে গোলা-গুলি, বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে তারা।  প্রায় ৮০ হাজার শিশু-সহ ৪ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিককে অপহরণের অভিযোগও উঠেছে রুশ সেনার বিরুদ্ধে।  


ইউক্রেনীয় নাগরিকদের অপহরণের অভিযোগ


ইউক্রেনের অভিযোগ, দেশের নাগরিকদের জোর করে রাশিয়ায় ধরে নিয়ে গিয়ে ‘দাসত্ব শিবিরে’ রাখা হয়েছে। মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে সবার থেকে, যাতে বিনা পারিশ্রমিকে সেখানে কাজ করেন সকেল। ইউক্রেনীয় নাগরিকদের পণবন্দি করে রেখে আসলে মস্কো কিভকে মাথানত অবস্থায় দেখতে চায় বলেও দাবি করছে ইউক্রেনীয় সরকার। যদি রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনীয় নাগরিকরা স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়েছেন।