কিভ: যুদ্ধক্ষেত্র থেকে রাশিয়া পিছু হটতে শুরু করেছে বলে খবর (Russia Ukraine War)। কিন্তু যুদ্ধের ক্ষত আদৌ মিটবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রাস্তার এদিক ওদিক, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা দেহ নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ বার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় মহিলাদের (Ukrainian Women) ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনাল সে দেশের সরকার। ১৫-১৬ বছরের কিশোরীরা রুশ সেনার লালসা থেকে রেহাই পায়নি বলে দাবি তাদের।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় মেয়েদের কথা বলতে গিয়ে এমন দাবি করেন ইভানকিভের মেয়র মারিয়ানা বেচাশৎনা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখই হয়ে তিনি বলেন, “একটি গ্রামে একসঙ্গে দুই বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ১৫-১৬ বছরের কিশোরী তারা। চুলের মুঠি ধরে মহিলাদের বেসমেন্টে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে তাঁদের উপর শারীরিক অত্যাচার চালাতে সুবিধা হয়।”
রুশ সেনার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ ইউক্রেনের
রুশ সেনার(Russian Army) লালসা থেকে রক্ষা পেতে ইউক্রেনীয় মেয়েরা যে ভাবে সম্ভব নিজেদের বাঁচারপ রাস্তা বার করেন বলে দাবি করেছেন মারিয়ানা। তাঁর দাবি, রুশ সেনার নজর যাতে না পড়ে, তার জন্য ছেলেদের মতো করে মাথার চুল কেটে ফেলেন অনেক মেয়ে। ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতেই তাঁরা এমন পদক্ষেপ করতে বাধ্য হন বলে দাবি করেন মারিয়ানা।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: ক্রামাটর্সক স্টেশনে আছড়ে পড়ল রুশ রকেট, চার শিশু-সহ হত ৫০, আহত ৯০
ইউক্রেন সরকারের দাবি, দীর্ঘ সময় রুশ সেনার দখলে থাকা কিভের শহরতলিতেও ধর্ষণের শিকার হন ইউক্রেনীয় মেয়েরা। ইভানকিভেও এমন বহু ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তারা। সেখানকার এক মহিলা জানিয়েছেন, ১২ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালের উপরই আছড়ে পড়ে বোমা। প্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে দৌড় লাগান তাঁরা। কিন্তু ১২ বছরের ছেলের শরীরে তীক্ষ্ণ ধাতব ফলা ঢুকে যায়। কোনও রকমে ছেলেকে একটি হাসপাতালে আনেন তারা। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। ‘তোমাদের খুব ভালবাসি,’ মৃত্যুর আগে ছেলের মুখ থেকে এই কথাই শুনেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা।
যুদ্ধাপরাধ চালানোর অভিযোগ রাশিয়ার বিরুদ্ধে
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ চালিয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। সেই নিয়ে তাদের গলায় নিষেধাজ্ঞার ফাঁস ক্রমশ শক্ত করেছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলি। শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ থেকেও রাশিয়ার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তাদের দাবি, শুধুমাত্র এক পক্ষের কথা শুনে অন্যায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।