কিভ: রাজনীতি তো দূরের কথা, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বোঝার বয়সও হয়নি এখনও। কিন্তু যুদ্ধের মাসুল গুনতে হচ্ছে ছোটদেরও (Death of Children in Ukraine)। প্রায় একমাসব্যাপী যুদ্ধে ইউক্রেনে (Russia Ukraine War) প্রাণ হারিয়েছে ১১৫ শিশু। গুরুতর জখম হয়েছে ১৪০। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ২৫তম দিনে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানাল ভলোদিমির জেলেনস্কি সরকার (Volodymyr Zelenskyy)।
নিহত শিশুরা যথাক্রমে রাজধানী কিভ (৫৮), খারকিভ (৩৬), ডনেৎস্ক (২৯), চেরনিহিভ (৩০), মিকোলাইভ (২২), ঝাইতোমির (১৫), সুমি (১৪) এবং কিরসান (১৪)-এর বাসিন্দা। রবিবার সকালে সেখানকার প্রসিকিউটর জেনারেল দফতর (Prosecutor General's Office /PGO) জানায়,শনিবারই লুহানস্কের রুবিঝনে এলাকায় একটি আবাসনে হামলা চালায় রুশ সেনা। তাতে কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে যায় আবাসনটি। তার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাঁদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা বলেও, শেষরক্ষা হয়নি।
এ ছাড়াও, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মায়ের কোলে লেপ্টে থাকা এক শিশুর খোঁজ মেলে। চিকিৎসকরা মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করলেও, কোনওক্রমে বাঁচানো সম্ভব হয় শিশুটিকে। তার চিকিৎসা চলছে।
শনিবার খারকিভে ৯ বছরের একটি ছেলেও রুশ গোলার আঘাতে মারা পড়ে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের দাবি, লাগাতার বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বসতি এলাকাগুলি। রুশ বোমার আঘাতে এখনও পর্যন্ত ৪৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯টি একেবারে ধুলোয় মিশে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে রুশ আগ্রাসন পেরিয়ে এখনও একাধিক এলাকায় ঢুকতে পারেনি ইউক্রেনীয় সেনা। ফলে সেখানকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
তবে যুদ্ধ ২৫ দিনে পা রাখলেও আক্রমণের তীব্রতা কম করেনি রাশিয়া। বরং রবিবারও ইউক্রেনের জ্বালানি ভাণ্ডার ধ্বংস করার জন্য ফের ‘কিনঝল’ হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করেছে তারা। মারিউপোলের একটি স্কুলে মহিলা এবং শিশু-সহ প্রায় ৪০০ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেও আজ রাশিয়া বোমাবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ইউক্রেন সরকারের। তাদের আরও অভিযোগ, বেশ কয়েকজনকে জোর করে রাশিয়ায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।