Russia Ukraine War:  ইউক্রেনের বন্দর-শহর মারিয়ুপোল দখলের দাবি করছে রাশিয়া! এখন তাদের নজর পূর্ব ইউক্রেনে। ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল...যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়, এখন সেখানেই হামলার তেজ বাড়িয়েছে মস্কো।

 

যুদ্ধ থামাতে এবার তত্পর রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাশিয়া যাচ্ছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (Antonio Guterres)। বৈঠক করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে। এরপর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনেও যাবেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ২৮ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ভোলেদেমির জেলেনস্কি ও বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। 


গুতেরেস মঙ্গলবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করবেন। সেখানেই তিনি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। এরপর বৃহস্পতিবার গুতেরেস কিভে যাবেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং  বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে দেখা করবেন।


জাতিসংঘের মুখপাত্র এরি কানেকো নিউইয়র্কে সংবাদমাধ্যমকে জানান, উভয় সফরেই গুতেরেস যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।  



শুক্রবার ওয়াশিংটনে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। একাধিক বিষয়ে দু’জনের মধ্যে কথা হয়। উল্লেখযোগ্য ভাবে তার মধ্যে ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি।  


অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে সবথেকে বড় জয়ের দাবি করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাডিমির পুতিন।  তাঁর দাবি, বন্দরশহর মারিউপোল এখন ‘মুক্ত’। যদিও মারিউপোলে একটি বিশাল ইস্পাত কারখানায় আশ্রয় নিয়ে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। ওই কারখানায় আশ্রয় নিয়েছেন বহ সাধারণ নাগরিকও।

মারিউপোলের মেয়রের দাবি, বন্দর শহরে আশ্রয় নেওয়া ১ লক্ষ সাদারণ নাগরিকের কী হবে, তা বলতে পারবেন পুতিন। তাঁর অভিযোগ, নিজেদের কুকীর্তি আড়াল করতে গণকবর খুঁড়ে সারি সারি মৃতদেহ পুঁতে দিচ্ছে রাশিয়ার সেনা।