কিয়েভ : যাঁরা কিয়েভ যাচ্ছেন বা পশ্চিমপ্রান্ত থেকে রওনা হয়েছেন, আপাতত তাঁরা নিজেদের শহরে ফিরে যান। মূলত পশ্চিম সীমান্তের দেশগুলি বরাবর নিরাপদে সরে যান। যুদ্ধের বাতাবরণে এমনই সতর্কতা জারি করল ইউক্রেনের (Ukraine) কিয়েভে থাকা ভারতীয় দূতাবাস।


রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রুশ সেনা। রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহরে শোনা যাচ্ছে পরের পর বিস্ফোরণের শব্দ। ইউক্রেনের দাবি, ৫টি রুশ সেনাবিমান ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামানো হয়েছে। রাশিয়ার পাল্টা দাবি, ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করার পাশাপাশি সে দেশের বায়ুসেনার যাবতীয় প্রতিরোধ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, রুশ সেনার ছোড়া গোলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৯ জন আহত। আত্মসমর্পণ নয়, জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করেছে ন্যাটো। 


আরও পড়ুন ; কেন ইউক্রেন আক্রমণ করল রাশিয়া ?


এর আগে আজ ভোরে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেন নিয়ে কোনও বিদেশি শক্তি নাক গলালে তার ফল ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।  


এরপরই ইউক্রেন জুড়ে জারি হয় সামরিক আইন। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই ইউক্রেন সীমান্তে এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। ইউক্রেনও তাদের ৩টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেনের দূতাবাস খালি করেছে মস্কো। ইউক্রেনের তরফেও তাদের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


এই পরিস্থিতিতে আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে G-7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।


এর পাশাপাশি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমেরিকা। বিনা প্ররোচনায়, অযৌক্তিকভাবে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে বলে জানিয়েছেন জো বাইডেন।