নয়াদিল্লি: রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন যে, তারা ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ও তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এদিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিবেশী দেশে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার পরই দ্রুতগতিতে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেন সেনার বিমান ঘাঁটির পরিকাঠামো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। ধ্বস্ত করে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর সমগ্র ইউক্রেন জুড়েই শোনা গিয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, পুরোদস্তর অভিযান শুরু হয়েছে।
সংকট নিরসনের চেষ্টায় গত কয়েক সপ্তাহজুড়ে কূটনৈতিক দৌত্য, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমী দেশগুলির নিষেধাজ্ঞাও রাশিয়াকে নিরস্ত করতে পারল না। এড়ানো গেল না যুদ্ধ। ইউক্রেন সীমান্ত দেড় থেকে দুই লক্ষ সেনা মোতায়েন করে রেখেছিল রাশিয়া।
রাষ্ট্রপুঞ্জের হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে এদিন আচমকাই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকল রুশ সেনা। ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে বেলারুশও। রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহরে শোনা যাচ্ছে পরের পর বিস্ফোরণের শব্দ। ইউক্রেনের দাবি, ৫টি রুশ সেনাবিমান ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামানো হয়েছে। রাশিয়ার পাল্টা দাবি, ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করার পাশাপাশি সে দেশের বায়ুসেনার যাবতীয় প্রতিরোধ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ ভোরে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেন নিয়ে কোনও বিদেশি শক্তি নাক গলালে তার ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এরপরই ইউক্রেন জুড়ে জারি হয় সামরিক আইন। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই ইউক্রেন সীমান্তে এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। ইউক্রেনও তাদের ৩টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেনের দূতাবাস খালি করেছে মস্কো। ইউক্রেনের তরফেও তাদের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে G-7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।