নয়া দিল্লি : ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু রাশিয়ার। যুদ্ধকালীন এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরলেন ছাত্র-সহ বেশ কিছু ভারতীয় নাগরিক। আজ দিল্লির বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তাঁরা। সকাল পৌনে আটটা নাগাদ ১৮২ জন ভারতীয়কে নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছয় ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি।
ইউক্রেন-ফেরত এমবিবিএসের এক ছাত্রী বলেন, "আমি যে এলাকাটায় থাকি, সেখানকার অবস্থা ভাল। কারণ, সেটি সীমান্ত থেকে অনেকটা দূরে। কিন্তু, দূতাবাসের তরফে আমাদের ফিরতে বলা হয়। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারির পর আমরা ফিরে এলাম। "
অপর এক ছাত্র বলেন, "গতরাতে আমরা ইউক্রেনে জরুরি বার্তা পাই। আগামী ৩০ দিনের জন্য। তাই আমরা ফিরে এলাম।"
আরও পড়ুন ; "আমেরিকা ও মিত্রশক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেবে", রাশিয়াকে 'দায়ী' করে মন্তব্য বাইডেনের
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেছে রাশিয়া। ইতিমধ্যেই পূর্ব ইউরোপের ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনা। এরপরই রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহরে শোনা যায় একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেন নিয়ে কোনও বিদেশি শক্তি নাক গলালে তার ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই ইউক্রেন সীমান্তে এয়ারস্পেস বন্ধ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনও তাদের ৩টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। গোটা দেশে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের দূতাবাস খালি করেছে মস্কো। ইউক্রেনের তরফেও তাদের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে G-7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
এদিকে রুশ-হঙ্কারের আবহে ইউক্রেনের জন্য প্রার্থনা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাশাপাশি রাশিয়াকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, এই হামলার জেরে যে মৃত্যু ও ধ্বংসলীলা হবে তার জন্য শুধু রাশিয়া-ই দায়ী। আমেরিকা ও তার মিত্রশক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে এর জবাব দেবে। রাশিয়াকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে বিশ্ব।