মস্কো:   ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করল রাশিয়া।পূর্ব ইউরোপের ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকল রুশ সেনা।ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির  পুতিনের এই নির্দেশের কথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএফপি। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন দখল করার কোনও পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। কিন্তু দেশের বাইরে যে বিপদ রয়েছে, তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। 


পূর্ব ইউরোপের ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকল রুশ সেনা। এরপরই রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহরে শোনা যায় একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেন নিয়ে কোনও বিদেশি শক্তি নাক গলালে তার ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই ইউক্রেন সীমান্তে এয়ারস্পেস বন্ধ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনও তাদের ৩টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। গোটা দেশে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের দূতাবাস খালি করেছে মস্কো। ইউক্রেনের তরফেও তাদের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে G-7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।


টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে ইউক্রেমে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেছেন পুতিন। তাঁর দাবি, এই অভিযানের উদ্দেশ্য অসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষা। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের অভ্যন্তর থেকে যে বিপদ আসছে, তার মোকাবিলায় হিসেবেই এই সামরিক অভিযান। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ইউক্রেন দখল করার কোনও উদ্দেশ্য নেই রাশিয়ার।






পুতিনে সেই সঙ্গে অন্যান্য দেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলে যে ফল ভুগতে হবে, যা তারা আগে কোনওদিন দেখেনি।


পুতিন আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলিকে ইউক্রেনকে ন্যাটো-তে সামিল হওয়া প্রতিহত করা ও মস্কোর নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি অগ্রাহ্য করেছে।


পুতিন আরও বলেছেন, রাশিয়ার এই সামরিক অভিযান উদ্দেশ্য ইউক্রেনের অসামরিকীকরণ। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের বাহিনীর যে বা যাঁরা অস্ত্র সমর্পণ করবেন, তাঁদের যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে নিরাপদে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।