Russian Military: প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক অভিযানের নির্দেশের পর দ্রুত গতিতে ইউক্রেনে আক্রমণ শানিয়েছে রাশিয়া।  রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দাবি, তাদের আক্রমণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের বায়ুসেনা ঘাঁটি ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এরইমধ্যে জানা গেছে যে, ইউক্রেনের লুগানস্কের দুটি শহর রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। রুশ সেনাবাহিনী এই শহরগুলিতে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। এরপর ইউক্রেনের সেনারা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেশে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়। 


উল্লেখ্য, ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্রমশই এগিয়ে চলেছে রুশ সেনাবাহিনী। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপনাস্ত্র হানা চালিয়েছে বলে খবর। এরইমধ্য়ে ইউক্রেন রাশিয়ার একটি ফাইটার জেট ও কিছু হেলিকপ্টার গুলি করে নামানোর দাবি করেছে। সেইসঙ্গে রুশ আক্রমণের সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবিলার কথাও বলেছে ইউক্রেন। কিন্তু এরইমধ্যে আত্মসমর্পণের খবর সামনে আসায় ইউক্রেনের সংকট জটিল হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। 


এরইমধ্যে রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। রাশিয়ার হামলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, জখম হয়েছেন ৯ জন। 


রাষ্ট্রপুঞ্জের হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকেছে রুশ সেনা।এর আগে আজ ভোরে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেন নিয়ে কোনও বিদেশি শক্তি নাক গলালে তার ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 


এরপরই ইউক্রেন জুড়ে জারি হয় সামরিক আইন। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই ইউক্রেন সীমান্তে এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। ইউক্রেনও তাদের ৩টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেনের দূতাবাস খালি করেছে মস্কো। ইউক্রেনের তরফেও তাদের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


এই পরিস্থিতিতে আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে G-7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।