রিয়াধ: মরু রাষ্ট্রে ঘটনার ঘনঘটা। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি আলওয়াইদ বিল তালাল সহ অন্তত ১১ জন রাজপুত্রকে গ্রেফতার করল সৌদি আরব। এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন ৪ মন্ত্রী ও বহু প্রাক্তন মন্ত্রী। এঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।


সৌদির সরকারি সংবাদ মাধ্যম আল আরাবিয়ায় এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে প্রিন্স আলওয়াইদের গ্রেফতারের খবর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিশ্বের বহু বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর অংশীদারি রয়েছে। সিটিগ্রুপ, টুইটার, নিউজ কর্পের মত সংস্থায় বড়সড় শেয়ারহোল্ডার তিনি।  আরব দুনিয়ায় স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কও তিনি চালান।

যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের ক্ষমতা আরও প্রসারিত করার জন্যই এই গ্রেফতার বলে মনে করা হচ্ছে। ৩২ বছর বয়সি যুবরাজ সলমন সৌদি রাজা সলমনের প্রিয় পুত্র ও প্রধান পরামর্শদাতা। সৌদি প্রতিরক্ষা, বিদেশনীতি, আর্থিক ও সামাজিক নীতি এমনকী রাজ পরিবারে অসন্তোষের কণ্ঠরোধ- সব কিছু সম্পর্কে তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

উল্লেখযোগ্য বিষয়, যুবরাজের নেতৃত্বে রাজা সলমন একটি দুর্নীতিবিরোধী কমিটি তৈরি করেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই কমিটি ১১ রাজপুত্রকে জেলে পুরে দেয়!

রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার দাবি, এই দুর্নীতিবিরোধী কমিটি যাকেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে সাব্যস্ত করবে, তাকেই গ্রেফতার করে যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে, তার যাতায়াতেও জারি হবে নিষেধাজ্ঞা।

রিয়াধের অঘোষিত রয়্যাল হোটেল রিজ কার্লটন গতকাল ফাঁকা করে দেওয়া হয়, শোনা যাচ্ছিল, গ্রেফতার হওয়া রাজপুত্রদের এখানে রাখা হবে। বেসরকারি বিমানের জন্য বরাদ্দ বিমানবন্দরও বন্ধ করে দেওয়া হয়। জল্পনা শুরু হয়, ধনী ব্যবসায়ীরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সেই লক্ষ্যেই যুবরাজ সলমন বিমানবন্দর বন্ধ করলেন কিনা।

সৌদি আরব পুরোপুরিই রাজ পরিবারের ইচ্ছাধীন, এখানে কোনও লিখিত সংবিধান, পার্লামেন্ট বা আদালত নেই। তাই দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তার সত্যমিথ্যে যাচাই করা কার্যত অসম্ভব।