প্রসঙ্গত, ছোট্ট সাত বছরের বানাকে তার এই টুইটার অ্যাকাউন্টা খুলে দেয় তার মা। সেখান থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত অ্যালেপোর প্রতিমুহূর্তের খবর দুনিয়াকে দিয়েছে বানা। লেখিকা জে.কে.রাউলিংয়ের কাছে হ্যারি পটার পড়তে চেয়ে একটি আর্জি জানায় বানা এখান থেকে। সেই টুইট দেখে লেখিকাও সঙ্গে সঙ্গে হ্যারি পটারের ই-বুক পাঠিয়ে দেন বানাকে।
বানা তার টুইটে জানিয়েছে, আলেপ্পোর পূর্ব দিকের এলাকার প্রায় ষাট শতাংশই এখন সিরিয়ার সেনার দখলে। প্রায় তিরিশ হাজার আলেপ্পোবাসী তাদের ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাদের অপারেশন ততদিন থামবে না, যতদিন না তারা পুরো আলেপ্পো ফের তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসবে।
প্রসঙ্গত, গত ছবছর ধরে সিরিয়ার একমাত্র বাস্তব যুদ্ধ। সেখানকার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তাঁর বিরোধীদের লড়াই, গত কয়েক বছরে প্রাণ নিয়েছে প্রায় হাজারের ওপর মানুষের, ঘরছাড়া লক্ষাধিক মানুষ।
মাঝে দিন কয়েকের বিরতি ছিল, ফের আলেপ্পোয় শুরু হয়েছে বিমানহামলা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ আলেপ্পোর পূর্বদিক। সেখানে মানুষের কাছে খাবার নেই, ওষুধ নেই, জ্বালানি নেই, টাকা নেই, কাজ নেই। মূলত স্বাভাবিক জীবনধারণের জন্যে প্রাথমিক কিছুরই জোগান নেই। এভাবে বেঁচে থাকা কতটা কঠিন, সেকথাই সকলকে বলত বানা।
গতকাল রাতের টুইটের পর এখন আর কোনও টুইট নেই বানা বা তার মায়ের তরফে। এখন সকলেরই অপেক্ষা মৃত্যুকে জয় করে ফের ফিরে আসতে পারে কিনা বানা তার এই কঠিন জীবন যুদ্ধে। আবার তার থেকে টুইটের অপেক্ষায় রইল গোটা দুনিয়া! বেস্ট অফ লাক ছোট্ট বানা।
এই সংক্রান্ত আরও একটি খবর পড়ুন
যুদ্ধবিধ্বস্ত আলেপ্পোর জীবন কেমন, টুইটারে বর্ণনা সাত বছরের সিরিয়ার নাবালিকার