আলেপ্পো:  যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার আলেপ্পোর জীবন কতটা কঠিন, সেটাই টুইটারের মাধ্যমে বর্ণনা করেছে সাত বছরের ছোট্ট বানা অ্যালাবেদ। তবে ক্যামেরার সামনে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার আগে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই জায়গার বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপ ঘুরে দেখে সেই মেয়ে। তারপর সে বলে, সে খুবই দুঃখিত, কারণ এখানে চারিদিকের পরিস্থিতি দুর্বিসহ, এবং বানার অনুরোধ, সবাই যুদ্ধবিধ্বস্ত আলেপ্পোর পাশে দাঁড়ান।





স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরতে আগ্রহী বানা টুইট করে বলেছে যুদ্ধ ভুলতে সে পড়াশোনা করছে। সেখানে এখনই বোমাবর্ষণ বন্ধের আর্জি জানিয়েছে ছোট্ট বানা। মেয়েটির এরমধ্যে ৯৪ হাজার টুইটার ফলোয়ার রয়েছে, এবং তার সাম্প্রতিক শেয়ার করা টুইটে বানা লিখেছে, সারারাত বোমাবর্ষণ চলেছে। পরেরদিনের সকালের পরিস্থিতি ঘুরে দেখে খুবই দুঃখিত সে।

প্রসঙ্গত, গত ছবছর ধরে সিরিয়ার একমাত্র বাস্তব যুদ্ধ। সেখানকার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তাঁর বিরোধীদের লড়াই, গত কয়েক বছরে প্রাণ নিয়েছে প্রায় হাজারের ওপর মানুষের, ঘরছাড়া লক্ষাধিক মানুষ।

মাঝে দিন কয়েকের বিরতি ছিল, ফের আলেপ্পোয় শুরু হয়েছে বিমানহামলা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ আলেপ্পোর পূর্বদিক। সেখানে মানুষের কাছে খাবার নেই, ওষুধ নেই, জ্বালানি নেই, টাকা নেই, কাজ নেই। মূলত স্বাভাবিক জীবনধারণের জন্যে প্রাথমিক কিছুরই যোগান নেই। এভাবে বেঁচে থাকা কতটা কঠিন, সেকথাই সকলকে বলেছে বানা।

 



টুইটারের মাধম্যে বিশ্বের থেকে তাঁরা কী আশা রাখেন জানতে চাওয়া হয়েছিল বানার মায়ের কাছ থেকে। বানার মা ফতিমা জানিয়েছেন, এখানে তাঁদের কঠিন, নারকীয় জীবনের নিদর্শন সকলের সামনে তুলে ধরতে চান তাঁরা। তাঁরা যা ভাবেন, যা দেখেন, সেটাই টুইট করেন। এমনকি এভাবে তাঁরা বিশ্বের বহু মানুষের নজর কাড়তে পেরেছেন, দাবি ফতিমার। এমনকি বানা কয়েকদিন আগে লেখিকা জে.কে.রাওলিংয়ের কাছে হ্যারি পটার পড়তে চায়। সঙ্গে সঙ্গে লেখিকা এবং তাঁর এজেন্ট বানাকে বইয়ের ই-কপি পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। শুধু তাই নয় যুদ্ধের মধ্যে বাঁচার এই কঠিন চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে হ্যারি পটার-এর লেখিকা বানাকে ভালভাবে এবং সাবধানে থাকার শুভেচ্ছা বার্তাও পাঠিয়েছেন।