সাংহাই : শহরে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। গৃহবন্দী মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রদের বাধ্যতামূলক সাঁতার পরীক্ষার (Swimming Test) কথা বলে সাংহাই বিশ্ববিদ্যালয় (Shanghai University) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তা হলেও তো ঠিক ছিল। গোল বাঁধে অন্যত্র। ছাত্রদের অনলাইনে সাঁতার পরীক্ষার কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই নির্দেশনামা মুছেও হয়নি লাভ।


গত সপ্তাহে সাংহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাত্রদের উদ্দেশে বলা হয়, গ্র্যাজুয়েশন করার আগে এখনও পর্যন্ত যাঁরা ৫০ মিটার সাঁতার টেস্ট সম্পূর্ণ করেননি, তাঁরা তা বাড়ি থেকে অনলাইনে করতে পারেন। ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়, সাংহাইয়ের করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে "স্নাতক প্রক্রিয়া সুচারুভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই" এই পদক্ষেপ। 


পরে এই পোস্ট ডিলিট করেও শেষ রক্ষা হয়নি। কারণ, ততক্ষণে এই 'নির্দেশনামা-র' স্ক্রিনগ্র্যাব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট অনুসারে, চিনের কয়েকটি নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনে সাঁতারের দক্ষতা প্রয়োজন। কারণ, বেঁচে থাকার জন্য এটি অপরিহার্য দক্ষতা হিসাবে বিবেচিত হয়।


এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বছর সাঁতারে জন্য ছাত্রদের অনলাইনে ২৯ মার্চের মধ্যে "Basic Theory of Swimming" করতে হবে। আর এই বিজ্ঞপ্তি সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। নানা জন নানা রকম মজার মন্তব্য করতে থাকেন।


"Shanghai University swimming test changed to online assessment"-এই হ্যাশটাগে পোস্ট চিনের Weibo প্ল্যাটফর্মে ১২০ মিলিয়ন ভিউ হয়। 


এক Weibo ব্যবহারকারী লেখেন, এরকম একটা খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই কাণ্ড ! খুবই হতাশাজনক ব্যাপার। পুলে ঝাঁপ মারার জায়গায় থিওরি টেস্ট ! কীভাবে সম্ভব ? অপর এক Weibo ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ছাত্ররা কি নিজেদের বাথটাবে সাঁতার কাটবেন ? !


কেউ কেউ আবার মজা করে নিজেদের রুমে সাঁতার কাটার ভিডিও করে তা শেয়ার করেন !