ইসলামাবাদ: নওয়াজ শরিফের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল সেনাবাহিনী। নিজের আস্থাভাজন বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক ফতেমিকে বরখাস্ত করেছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। উচ্চ পর্যায়ের সরকারি বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রশ্নে অসামরিক প্রশাসন ও সেনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে চরম মতপার্থক্যের জেরে বাকবিতন্ডার খবর মিডিয়ার কাছে ফাঁস করে দেওয়ার অপরাধে দোষী ফতেমিকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটি। শরিফ তা কার্যকর করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিবৃতিতে দিয়ে পাক সেনা তা অসম্পূর্ণ বলে বাতিল করেছে। ফলে শরিফ প্রবল অস্বস্তিতে পড়লেন। ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস জানিয়েছে এ কথা।


 



পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর ট্যুইট করেন, ডন-এ খবর ফাঁস হওয়া নিয়ে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অসম্পূর্ণ, তদন্ত কমিটির সুপারিশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই খারিজ করা হল ওই বিজ্ঞপ্তি। তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলি অক্ষরে অক্ষরে রূপায়ণের দাবি করেছে সেনাবাহিনী। চাপে পড়ে পাক সরকার তড়িঘড়ি জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির সুপারিশ কার্যকর করার ব্যাপারে 'আসল বিজ্ঞপ্তি' জারি হয়নি এখনও।
যদিও সেনার পদক্ষেপকে প্রচ্ছন্ন কটাক্ষ করে পাক অভ্যন্তরীণমন্ত্রী নিসার আলি খান মন্তব্য করেন, ট্যুইটারে দেওয়া প্রতিক্রিয়া দেশের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। সেইসঙ্গে বলেন, বিরাট গুরুত্ব পাওয়ার মতো অনেক ইস্যুই আছে। কিন্তু সেগুলির মীমাংসা হচ্ছে ট্যুইটে, এটাই দুর্ভাগ্যজনক। সরকারি সংস্থাগুলি কিন্তু ট্যুইটে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না।
গত অক্টোবরে ডন পত্রিকার এক সাংবাদিক প্রথম পাতায় ছাপা হওয়া এক প্রতিবেদনে দাবি করেন, পাকিস্তানের মাটিতে সক্রিয়, ভারত ও আফগানিস্তানে ছায়াযুদ্ধে জড়িত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ে অসামরিক সরকার ও সেনার সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে তুমুল মতপার্থক্য রয়েছে। এ নিয়ে তুমুল শোরগোল হয়। সেনাবাহিনী রুষ্ট হয়। বাধ্য হয়ে তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রশিদকে সরিয়ে দেয় সরকার। তবে সেনার চাপে তদন্তও শুরু হয়। চলতি সপ্তাহেই শরিফের কাছে তদন্ত রিপোর্ট পেশ হয়।