গত বছরের অক্টোবরে পাকিস্তানের প্রথমসারির একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়া একটি প্রতিবেদন নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়, পাকিস্তানের মাটি থেকে যে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি ভারত ও আফগানিস্তানে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে, তাদের বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অসামরিক শাসকদের বিরোধ তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের অভিযোগ, জঙ্গিদের দমন করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে সেনাবাহিনী।
এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। তথ্য মন্ত্রী পারভেজ রশিদকে সরিয়ে দেন শরিফ। একইসঙ্গে তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, তারিকই বৈঠকের খবর ফাঁস করেছেন। এরপরেই তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন পাক প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তথ্য মন্ত্রকের প্রধান তথ্য আধিকারিক রাও তেহসিন আলির বিরুদ্ধেও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রের সম্পাদক জাফর আব্বাস ও সাংবাদিক সিরিল আলমেইদা বিরুদ্ধে সংবাদপত্র সংগঠনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন শরিফ। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়ক খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে আচরণবিধি তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।