হিউস্টন: টেক্সাসে নিখোঁজ ভারতীয় শিশু কন্যা শেরিন ম্যাথিউজের মৃত্যুর জন্যে তার পালক পিতা ওয়েসলি ম্যাথিউজের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করল সেখানকার গ্র্যান্ড জুরি। ওয়েসলি যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে, এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন ডালাস কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ফেয়থ জনসন। তিনি জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই আপাতত খুনের মামলা রুজু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ঠিক কী আছে, সেবিষয় বিস্তারিত ভাবে তিনি কিছু জানাননি।

বর্তমানে ওয়েসলির বিরুদ্ধে চাইল্ড এনডেনজারমেন্ট, অ্যাবানডনিং অ্যা চাইল্ড এবং প্রমান লোপাটের চেষ্টা সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। তারপর  লাগু হল এই খুনের মামলা। টেক্সাসের আমজনতা থেকে প্রশাসন, সকলেই চান মৃত তিন বছরের অনাথ শিশুটিকে বিচার পাইয়ে দিতে। কারণ, তার ছোট্ট জীবনে তাকে কোনও কারণ ছাড়া মারাত্মক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল।

ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টেক্সাসে নিযুক্ত ভারতীয় কনস্যুল জেনারেল অনুপম রায়। তিনিও সাংবাদিক বৈঠকের পর জানান, এই ঘটনায় যে পথে বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়েছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট। তাঁরা কোনওদিনই শেরিনকে কেউ ভুলবেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ভারতের বিহারের নালন্দার এক অনাথ আশ্রম থেকে ২০১৬ সালে শেরিন সরস্বতী ম্যাথিউজকে দত্তক নেন ওয়েসলি এবং সিনি। ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর রাত থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না এই তিন বছরের শিশুকে। ২২ অক্টোবর বাড়ির থেকে সামান্য দূরে একটি কালভার্টের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় শেরিনের দেহ। প্রথমে ওয়েসলি বলেছিলেন, তিনি শেরিনকে দুধ না খাওয়ার জন্যে রাত তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে বের করে দেন। তারপর থেকে সে নিখোঁজ। এরপর দেহ পাওয়ার পর বয়ান বদলে ওয়েসলি বলেন, তিনি শেরিনকে ওই রাতে দুধ খেতে সাহায্য করছিলেন। দুধ গলায় আটকে কাশতে কাশতে শেরিনের মৃত্যু হয়। তিনি গিয়ে দেহ কালভার্টে ফেলে আসে। তারপর তদন্তে উঠে আসে এই মামলা সংক্রান্ত আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। আপাতত তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি রিচার্ডসন পুলিশ।