নয়াদিল্লি : ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পেয়েছিল এই দ্বীপরাষ্ট্র। সম্প্রতি কালে চরম দুর্দশার (Sri Lanka Economic Crisis ) মুখে শ্রীলঙ্কা। দেশে লাগাতার আর্থিক সঙ্কটের জেরে অশান্ত অবস্থা প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বালানি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসেরই দাম বেড়ে চলেছে হু হু করে। লাগামছাড়া দর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ( Sri Lankan President Gotabaya Rajapaksa)  ইস্তফার দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।



ছোড়া হল জল কামান
কড়া হাতে প্রতিহত করা হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের। তাদের সরাতে ছোড়া হল জল কামান।  সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য সরকারকেই দায়ী করছে সাধারণ মানুষ। সেনার বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।    






১৩ ঘণ্টা বিদ্যুত্‍হীন
বিক্ষোভের সূত্রপাত শ্রীলঙ্কার বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে এসে ঠেকার পর। আর্থিক সঙ্কটের ফলে বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। দেশে দেখা দিয়েছে অভূতপূর্ব বিদ্যুত্‍ সঙ্কট। অন্তত ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুত্‍হীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাবাসীদের। বিক্ষোভের জেরে কলম্বো জুড়ে কার্ফু জারি করেছে সরকার। শ্রীলঙ্কা সরকারের দাবি, কোভিডের জেরে গত ২ বছরে ১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশ।


কী জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ?
রাজাপক্ষে জানান, তিনি বিশ্বাস করেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা দরকার। অশান্তির আঁচ বাগে আনতে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে, গ্রেফতার এবং সন্দেহভাজনদের ধরতে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল। 


আরও পড়ুন :


একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞার জেরে আর্থিক মন্দায় রাশিয়া, দাবি আমেরিকার