কলম্বো : দেশ জুড়ে সাধারণ মানুষের লাগাতার বিক্ষোভ। জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম। তলানিতে বিদেশি মূদ্রার ভান্ডার। পেট্রোল পাম্পগুলিতে লম্বা লাইন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং। প্রেসিডেন্টের জরুরি অবস্থা ঘোষণা। একাধিক ঘটনাক্রম তুলে ধরছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় (Srilanka Crisis) চলতে থাকা ভয়ঙ্কর আর্থিক সঙ্কটের ছবি।
আর্থিক সঙ্কটের মাঝে এবার রাজনৈতিক সঙ্কটও
আর্থিক সঙ্কটের মাঝেই শ্রীলঙ্কায় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক সঙ্কটও (Sri Lanka Political Crisis)। মহিন্দা রাজাপক্ষের সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন অন্তত ৪১ জন সাংসদ।পদত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার সদ্য নিযুক্ত অর্থমন্ত্রীও। যার জেরে কার্যত সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল রাজাপক্ষের সরকার। দ্রুত সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য তাঁকে চাপ দিতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। আর রাজনৈতিক সঙ্কটের আবহেই অব্যাহত সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। পড়ুয়া থেকে কর্মী, সকলেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
রবিবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের কাছে ইস্তফা দেন শ্রীলঙ্কার ২৬ জন মন্ত্রী। এরপর সোমবার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষেকে অপসারিত করে আলি সাব্রেকে নতুন অর্থমন্ত্রী করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাজাপক্ষে। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, মঙ্গলবারই পদত্যাগ করেন শ্রীলঙ্কার একদিনের অর্থমন্ত্রী। তবে এর থেকেও খারাপ খবর অপেক্ষা করছিল শ্রীলঙ্কার শাসকদলের কাছে।
২২৫ আসনের শ্রীলঙ্কা সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১১৩টি আসন। ২০২০ সালের নির্বাচনে শ্রীলঙ্কা পিপল্স ফ্রিডম অ্যালায়েন্স ১৫০টি আসনে জয়লাভ করে। কিন্তু এদিন প্রায় ৪১ জন সাংসদ সরকারের থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছেন। যার জেরে শাসকদলের আসন সংখ্যা ম্যাজিক ফিগারের নিচে নেমে গিয়েছে।
সাহায্যে ভারত
ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আর্থিক সঙ্কট মেটাতে এগিয়ে এসেছে ভারত। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার আর্থিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে গোটা বিশ্ব। এই মুহূর্তে ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে কার্যত দেউলিয়া অবস্থা শ্রীলঙ্কার। পরিস্থিতি এতটাই কঠিন যে সাধারণ মানুষের মুখে খাওয়ারটুকু পৌঁছে দেওয়াও রীতিমত কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের কাছে। পাশাপাশি, যেটুকু খাদ্যদ্রব্য অবশিষ্ট রয়েছে তার দামও হয়েছে আকাশছোঁয়া।
আরও পড়ুন- শ্রীলঙ্কায় জারি জরুরি অবস্থা, সাহায্যের হাত বাড়াল ভারত