চেন্নাই :  রবিবার ১৯ জন শ্রীলঙ্কার শরণার্থী তামিলনাড়ু উপকূলে পৌঁছেছেন। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই উনিশের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ( Sri Lankan refugees) রয়েছেন। তাঁরা সবাই শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চল থেকে দুটি পৃথক নৌকায় করে রামেশ্বরম উপকূলে পৌঁছেছেন। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুসারে, ২২ মার্চ থেকে মোট ৩৯ জন শ্রীলঙ্কার থেকে তামিলনাডুতে এসে পৌঁছেছেন। 


শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট ( Sri Lanka Economic Crisis) নিয়ে আলোচনার জন্য ৪২ জন নির্দল এমপি-কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে সে দেশের এক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। রবিবার সন্ধের বৈঠক চলাকালীন, সাংসদরা রাষ্ট্রপতিকে তাঁর বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে অপসারণ করার এবং অভূতপূর্ব সংকট মোকাবিলায় একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য অনুরোধ করেন।

রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সামনে চলে বিক্ষোভ
প্রেসিডেন্টের অপসারণের দাবিতে শ্রীলঙ্কায় প্রতিবাদ আরও তীব্র হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সামনে চলে বিক্ষোভ। এদিকে, জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি প্রতিবেশীকে খাদ্যশস্য দিয়ে সাহায্য করল ভারত। ভারতের প্রশংসা করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। খ্রিস্টান ধর্মযাজকরা শনিবার একটি প্রতিবাদ দিবস পালনের জন্য রাজধানীতে মিছিল করে। জাতীয় পতাকা হাতে কলম্বোর রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ জারি রেখেছেন হাজার হাজার শ্রীলঙ্কাবাসী। যত সময় গড়াচ্ছে, ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার ততই যেন গভীর অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে! প্রায় সবকিছুই চলে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। 


পরিস্থিতি ধরাছোঁয়ার বাইরে
পেট্রোল পাম্পগুলিতে লম্বা লাইন, চালের কেজি ২০০ পেরিয়েছে। এক কেজি পেঁয়াজ ৪০০ টাকা। একটি ডিমের দাম ৩০ টাকা! শিশুদের জন্য মিলছে না দুধ। এই পরিস্থিতিতে শুধু জ্বালানি দিয়ে সাহায্য করেই সাহায্য নয়, দ্বীপরাষ্ট্রবাসীদের জন্য খাবার, সবজি পাঠিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। চিন সহ বিভিন্ন দেশের কাছে ঋণে জর্জরিত হয়ে আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। এই প্রেক্ষাপটে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে বলেছেন, তাঁর সময়ে চিনের বিনিয়োগ নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না এবং শ্রীলঙ্কায় চিনের কোনও বিনিয়োগ ছিল না। সঙ্কটের সময় ভারতের প্রশংসা করে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের সত্যিই খুব সাহায্য করছে। এমনকী আর্থিক সাহায্য ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করে চলেছে। ইস্তফা দেওয়ার পর ফের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ফিরেছেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ঘুরে দাঁড়াতে আগামী ৬ মাসে শ্রীলঙ্কার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রয়োজন। তবে কাজটা খুবই কঠিন।