লাহোর : পাকিস্তানের (Pakistan) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে মনোনীত করেছেন বিরোধীরা। এদিকে বেআইনি লেনদেন মামলায় তাঁকে সমন পাঠিয়েছে আদালত। এহেন শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের তদন্তকারী এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিককে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হল। আস্থাভোটে ইমরান খান-সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়।
রবিবারের এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির লাহোর শাখার প্রধান মহম্মদ রিজওয়ানের ছুটির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল, ১১ এপ্রিল থেকেই তাঁর ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে। রিজওয়ানের নেতৃত্বে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির তদন্তে শাহবাজ পরিবারের বিরুদ্ধে ২৮টি বেনামি সম্পত্তির হদিশ মেলার অভিযোগ ওঠে। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিশাল পরিমাণ সেই টাকা তছরুপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন ; লাহোরের বিত্তশালী পরিবারে জন্ম, রাজনীতিতে প্রবেশের পর সৌদি আরবে নির্বাসন; কে এই শাহবাজ শরিফ ?
আগামীকাল ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির বিশেষ আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছে শাহবাজ ও তাঁর পুত্র হামজাকে। পাকিস্তানি মুদ্রায় ১৪ বিলিয়ন আর্থিক তছরুপ মামলায় তাঁদের হাজির হতে বলা হয়েছে। এদিকে কালই দুপুর দুটোয় পরবর্তী পাক প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন । সেই কারণে, আদালতে হাজিরা থেকে ছাড় পাওয়ার আবেদন জানাতে পারেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ (PML-N)-এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ। রবিবারই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন শাহবাজ।
৭০ বছরের শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। শাহবাজ নিজেও পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। ১৯৯৭, ২০০৮ ও ২০১৩-য়। তিনিই পাকিস্তানের পঞ্জাবের দীর্ঘমেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী। বিত্তবান পরিবারের শাহবাজের প্রশাসন পরিচালনায় বিশেষ দক্ষতার জন্য পরিচিত। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বেজিং পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে চিনের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে পানামা পেপার মামলায় নওয়াজ শরিফ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ (PML-N)-এর প্রধান হন শাহবাজ।