সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন বিচারপতি নিসার। ওই খবরে বলা হয়, নিকটবর্তী সিমেন্ট কারখানাগুলি বোরওয়েলের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে জল তুলে নেওয়ার কারণে কাটাস রাজ মন্দিরের পুকুরের জল হু হু করে কমে যাচ্ছে। কারণ, এর ফলে ভূগর্ভে জলস্তর নিচে নেমে গিয়েছে।
শুনানির সময় বিচারপতি নিসারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ ওই এলাকার সিমেন্ট কারখানাগুলিকে ধ্বংসাত্মক বলে অভিহিত করেন। মন্দির সংলগ্ন কারখানাগুলির নামও জানতে চায় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
প্রশ্নের উত্তরে পঞ্জাব সরকারের আইনজীবী মন্দিরগুলির নাম জানান। বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
উদ্বাস্তু ট্রাস্ট সম্পত্তি পর্ষদের আইনজীবী এই ঘটনার জন্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান আসিফ হাসমিকে দায়ী করেন। তাঁর অভিযোগ, হাসমি চেয়ারম্যান থাকাকালে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি জানতে চান, হাসমিকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এরজন্য আদালত পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র সচিব ও বিদেশ সচিবকে তলব করতে পারে।
চলতি মামলার শুনানি অন্য কোনও নিম্ন আদালতে করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতি নিসার।
গত মাসে আদালত মন্দিরের পুকুরের জল শুকিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল।
কাটাস রাজ মন্দির খুবই বিখ্যাত। কাটাস নাম এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে, যার অর্থ জলভরা চোখ।
কিংবদন্তী অনুসারে, সতীর মৃত্যুর পর শোকে কেঁদেছিলেন শিব। তাঁর চোখের জল থেকেই এই পুকুরের উত্পত্তি।
২০০৫-এ পাকিস্তান সফরে এসে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী কাটাস রাজ মন্দিরে গিয়েছিলেন এবং পাকিস্তান সরকারের সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করেছিলেন।