নয়াদিল্লি:পাকিস্তানের দখল থেকে মুক্তির দাবিতে ছাত্র সংগঠনের মিছিলে উত্তাল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জান্দালি এলাকা। ওই মিছিলের আয়োজন করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর স্টুডেন্টস ফেডারেশন। সংগঠনের স্থানীয় নেতা লিয়াকত খান বলেছেন, এই এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিষিয়ে দিতে পাকিস্তান জঙ্গিদের এখানে পাঠায়।সংবাদসংস্থা এএনআই ওই বিক্ষোভ মিছিলের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেই ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের স্বাধীনতার দাবিতে স্লোগান দিতে শোনা যাচ্ছে। তাঁদের হাতে পাকিস্তান থেকে মুক্তির দাবি সম্বলিত ব্যানার।





পাক অধিকৃত কাশ্মীরে স্বাধীনতার দাবিতে মিছিল এই প্রথম নয়। অতীতেও পাকিস্তান-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে এই অঞ্চল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর অত্যাচারের ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বাহিনীর বিরুদ্ধে।

২৪ এপ্রিল, ২০১৭- পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা পাক সেনাবাহিনীর জোর করে জমি দখলের বিরুদ্ধে পথে নামেন। বিক্ষোভকারীরা পাক সেনা ও পাক সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭- ইসলামাদ যখন বার্ষিক কাশ্মীর একতা দিবস পালন করছিল, তখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চলছিল বিক্ষোভ। পাকিস্তানের কঠোর দমন নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে পথে নামেন এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভারীদের অভিযোগ, পাক সরকার গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং প্রশাসনের মাধ্যমে এখানকার নিরীহ বাসিন্দাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে।

২২ অক্টোবর, ২০১৬- পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পাক বাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন।

২৪ অক্টোবর, ২০১৫- কালো দিবস পালিত হয়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন পাক-বিরোধী বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল।

২০১৬-র এপ্রিলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের বঞ্চনার প্রতিবাদে পাকিস্তান বিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছিল। মুজফফরাবাদে মিছিল করেছিল ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন ও জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি।