কাবুল:  ফের রক্তাক্ত কাবুল। আফগানিস্তানের রাজধানীতে দুটি পুলিশ স্টেশনে ধারাবাহিক হামলা চালাল আত্মঘাতী জঙ্গি ও বন্দুকধারীরা। হামলায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত বহু।


এদিন সকালে কাবুলে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। তারসঙ্গে চলে লাগাতার গুলি। পুলিশ ও হামলাকারীদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবান ও ইসলামিক স্টেট। যদিও, তালিবানের হক্কানি নেটওয়ার্ক ও পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-এ-তৈবার দিকে আঙুল তুলেছে আফগান গোয়েন্দা দফতর।


আফগান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াহিদ মাজরোহ জানান, অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৬ জন। আবার ২ পুলিশকর্মী মারা গিয়েছেন বলে দাবি করেছে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। এখনও এটা পরিষ্কার নয়, ২ পুলিশকর্মী স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ঘোষিত তালিকার অন্তর্ভুক্ত কি না।


ফেব্রুয়ারি মাসে কিছুটা স্বাভাবিক থাকার পর, ফের আফগানিস্তানে নাশকতামূলক হামলা বাড়িয়েছে তালিবান ও আইএস। এদিন কাবুলের পশ্চিমদিকে অবস্থিত একটি পুলিশ স্টেশনে প্রথম হামলাটি হয়। এই এলাকায় মূলত শিয়া-সম্প্রদায় মানুষের বাস করেন।


অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ওয়েস বারমাক জানান, হামলাকারীরা পুলিশ স্টেশন চত্বরে গ্রেনেড ছুঁড়লে একটি ঘরে আগুন ধরে যায়। ওই ঘটনায় ২ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আরও ২ পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ পাল্টা জবাব দিলে তিন হামলাকারী খতম হয়।


যদিও, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাজরোহ দাবি করেন, ওই হামলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ৯ জন আহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কাবুল পুলিশ স্টেশন থেকে ওঠা কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে আকাশ ঢেকে গিয়েছে।


দ্বিতীয় হামলাটি হয় কাবুলের শার-এ-নও এলাকার একটি পুলিশ স্টেশনে। সেখানে এক আত্মঘাতী জঙ্গি গাড়ি সহ নিজেকে উড়িয়ে দেয়। তার আগে, আরও চার জঙ্গি গাড়ি থেকে নেমে হামলা চালাতে শুরু করে। এদের মধ্যে একজনকে পুলিশ খতম করে। বাকি তিনজনের খোঁজ চলছে। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবান।


ঠিক গত সপ্তাহে, কাবুলে জোড়া বিস্ফোরণে ৯ সাংবাদিক সহ ২৫ জনের মৃত্যু হয়। সেই হামলার দায় নিয়েছিল আইএস। এদিনের হামলার তীব্র নিন্দা করেছে পাকিস্তান।