বেজিং: ভারত, চিন, রাশিয়া- তিন দেশ ফের বৈঠকে বসতে চলেছে। এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে চিনে। বেজিং থেকে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের ২৭ তারিখেই ১৬তম ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসবে ভারত-চিন-রাশিয়া। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর এই প্রথম মুখোমুখি বসতে চলেছে দুই প্রতিবেশী দেশ। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে থাকবেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ই। থাকবেন রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই লাভরভও।
এই বৈঠকে ভারত মূলত সন্ত্রাস দমনকেই মূল ইস্যু হিসেবে উথ্থাপন করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কথা হতে পারে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ নিয়েও। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, রাশিয়াকে পাশে নিয়েই চিনের উপর চাপ তৈরি করবে ভারত। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘বিশ্বত্রাস’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক, এই দাবিই থাকবে ভারতের। আর এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে চিন যেন কোনও ভাবেই পাকিস্তানের পাশে না দাঁড়ায়, সেই বিষয়েই আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং এই
ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী। পিটিআই-কে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, এই বৈঠকে নিশ্চিত ভাবেই ইতিবাচক কিছু ঘটবে। তবে মাসুদ আজহারকে ‘বিশ্বত্রাস’ ঘোষণা করার বিষয়ে কোনও রকম মন্তব্যই তিনি করেননি। তাঁর কথায়, “কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করার আগে রাষ্ট্রসংঘে যে রীতি মানা হয়, এক্ষেত্রেও তাই করা হবে। এমন অবস্থায় আমরা সব দিক ভেবেই নিজেদের মত জানাব।” তিনি আরও জানান, “জইশ-এ-মহম্মদ ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদের তালিকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই ইস্যুতে কোনও প্রকার অনুমোদনের ক্ষেত্রে চিন ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।” গেং শুয়াং
সন্ত্রাসের বাইরে তিন দেশের পারষ্পরিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়েও আশাবাদী। বৃহত্ বাজার, নিজেদের মধ্যে
ব্যবসায়িক সম্পর্ক, এবং পারষ্পরিক সহযোগিতার বিষয়টিকেও বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন চিনা মুখপাত্র।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরেও ভারত-চিন-রাশিয়ার সাক্ষাত্হ য়েছিল। সেবার আর্জেন্টিনায় সাক্ষাত্ করেছিল এই তিন
বন্ধু দেশ।