জেনিভা: বিশ্বের নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ (এনএসজি) বা পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে সায় রয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের। পাশাপাশি, সেদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলিতে জমা থাকা ভারতীয়দের অবৈধ টাকা উদ্ধার করতেও সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিল সুইস সরকার।


এদিন সুইস প্রেসিডেন্ট ইয়োহান স্নাইডার-অ্যামানের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সুইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এনএসজি সদস্য হতে আমরা ভারতকে সবরকম সাহায্য করব। সুইস প্রশাসনের এই আশ্বাসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মোদী।

প্রসঙ্গত, সুইৎজারল্যান্ড হল এনএসজি-র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ফলে, সেদেশের সমর্থন ভারতের কাছে প্রয়োজনীয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বহু দেশ ভারতের দাবিকে সমর্থন করলেও চিন বরাবর দাবি করে এসেছে যে যেহেতু ভারত নিউক্লিয়ার প্রোলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটি) বা পরমাণু অস্ত্র-প্রসার রোধ চুক্তি স্বাক্ষর করেনি, তাই তাকে এখনই এই এলিট ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত না করাই শ্রেয়।

এনএসজি-র পাশাপাশি, কালো টাকা এবং কর-ফাঁকি দেওয়ার প্রসঙ্গও দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদী জানান, কর দেশের ফাঁকিদাতারা যাতে শাস্তি পায়, সেজন্য সুইস প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানে অনুরোধ করা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এই সকল ব্যক্তিদের সুইস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাতে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এইচএসবিসি-র জেনিভা শাখায় বহু ভারতীয়র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত গোপন-তথ্য লিক হয়। এরপরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে আয়কর বিভাগ। এই প্রসঙ্গে, গতমাসে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, ভারত ও সুইৎজারল্যান্ডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার পরই এইচএসবিসি-র জেনিভা শাখায় যে সকল ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য ভারতের হাতে এসেছে। জেটলির দাবি ছিল, প্রায় ৬ হাজার কোটি মূল্যের কালো টাকা ওই ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে। সেই টাকার হদিস পেয়েছে ভারত। অ্যাকাউন্টধারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।