এদিন মোদী পরোক্ষে বোঝালেন পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর। ইসলামিক স্টেট, তালিবানের সঙ্গে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবাকে এক আসনে বসিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মিলিত লড়াইয়ের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার করে, তাদের কোনও সাহায্য করাই উচিত নয়।
তিনি বলেন, ভারতের পশ্চিম সীমান্ত থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কোথাও লস্কর-ই-তৈবা, তো কোথাও তালিবান আবার কোথাও আইএস। কিন্তু এদের দর্শন এক— হিংসা, ঘৃণা, হত্যা। মোদী বলেন, সন্ত্রাস মোকাবিলা সারা বিশ্বের কাছেই চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক সুরে লড়াই চালাতে হবে।
সন্ত্রাসবাদকে যারা প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের কোণঠাসা করার ডাক দিলেন। জঙ্গিদের মধ্যে যে ভাল-খারাপ হয় না, সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে পরোক্ষে আমেরিকাকেও বার্তা দেন মোদী। বললেন, ভাল সন্ত্রাসবাদ, খারাপ সন্ত্রাসবাদ বলে কিছু হয় না।
লম্বা ভাষণে একবারও চিনের উল্লেখ না করলেও, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার প্রেক্ষাপটেই, নাম না করে সমুদ্রপথেও সার্বভৌমত্ব রক্ষার উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, সমুদ্রপথের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং বিনা বাধায় বাণিজ্যিক কারণে সমুদ্রপথ ব্যবহারে বিশ্বাসী ভারত।
মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে আজ বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে মোদীই প্রথম, যিনি এ বছর মার্কিন কংগ্রেসে নিজের বক্তব্য পেশের সুযোগ পেলেন। ২০০৫ সালে মনমোহন সিংহের পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিলেন।