এই প্রথম দুই রাষ্ট্রনেতা এক মঞ্চে থাকতে চলেছেন। গত তিন মাসে এটা তাঁদের তৃতীয় সাক্ষাত হতে চলেছে। এর আগে গত জুনে জাপানে জি-২০ বৈঠক ও গত মাসে ফ্রান্সে জি-৭ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ওয়াশিংটন ডিসি ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে হাউস্টনে ভারতীয় নেতার সঙ্গে এক মঞ্চে কোনও ঘোষণা হতে পারে কিনা, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক। যদিও বিস্তারিত খোলসা করেননি এব্যাপারে।
মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, হাউস্টনে মোদি-ট্রাম্প সাক্ষাতের আগে কোনও বাণিজ্য সংক্রান্ত ডিল চূড়ান্ত করে ফেলার চেষ্টা করছেন ভারত-মার্কিন শীর্ষ আধিকারিকরা।
ভারত-মার্কিন বাণিজ্য লেনদেনের ক্ষেত্রে সম্প্রতি মতবিরোধ মাথাচাড়া দিয়েছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, মার্কিন পণ্যের ওপর ভারত যে হারে শুল্ক চাপাচ্ছে, তা ‘আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না’। গত জুনে জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস (জিএসপি) বা সাধারণ অগ্রাধিকার ব্যবস্থার আওতায় ভারতের সুবিধাভোগী উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বাতিল করেছে আমেরিকা। পাল্টা গত ৫ জুন থেকে কাঠবাদাম, আপেল সহ ২৮টি মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে ভারত।
মোদির হাউস্টনের সম্বর্ধনা সভায় থাকার জন্য রেকর্ডসংখ্যক ৫০ হাজার প্রবাসী মার্কিন ভারতীয়ের নাম নথিভুক্ত করার প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, উনি (মোদি) বিরাট জনতাকে পাচ্ছেন আর আমার ধারণা, আমি যাব বলে ওরা ঘোষণা করায় আরও বেশি মানুষ সেখানে আসবেন এবং আমি যাব।
হাউস্টনের অনুষ্ঠানের পর ওহাইওতে মার্কিন সফররত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন ট্রাম্প।
২১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষ্যে আমেরিকা সফর চলবে মোদির। মে মাসে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এটা তাঁর প্রথম মার্কিন সফর।