ব্রাসেলস: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও কোণঠাসা হল পাকিস্তান। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তান জঙ্গিদের অভয়ারণ্য, তারাই নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে ভারতে জঙ্গি ঢোকাচ্ছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আলোচনা হচ্ছিল কাশ্মীর নিয়ে। তখন ইউরোপীয় কনজার্ভেটিভ ও রিফর্মিস্টস গ্রুপের জিওফ্রি ফন ওডেন বলেন, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে সন্ত্রাসবাদের মদতে বিশেষ পরিষেবা দিচ্ছে। ইসলামাবাদ বেআইনিভাবে জম্মু কাশ্মীরের একটি অংশ দখল করে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তাঁর কথায়, কাশ্মীর ভারতের অন্যতম সুন্দর অংশ। কিন্তু গত ৭০ বছর ধরে সেখানে অস্থিরতা জিইয়ে রাখা হয়েছে, অনবরত হয়েছে সন্ত্রাসবাদের শিকার। অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সুযোগ এসেছে। আইনগতভাবে গোটা এলাকা ভারতের অংশ হওয়া উচিত কিন্তু জোর করে একটা অংশ দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। ৩৭০ ধারা সংশোধনীর পর জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দারা অবশিষ্ট দেশের নাগরিকদের সমান সুযোগ সুবিধে পাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আর এক পার্লামেন্ট সদস্য রিজার্ড জারনেকি পরিষ্কার মন্তব্য করেন, ভারত বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র। জম্মু কাশ্মীর ও অবশিষ্ট ভারতের মাটিতে যেভাবে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলছে সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। এই জঙ্গিরা চাঁদ থেকে নামেনি। এরা আসছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে। আমাদের ভারতকে সমর্থন করা উচিত।

একই কথা বলেন আর এক পার্লামেন্ট সদস্য ফালভিও মার্তুসিয়েলো। তিনি বলেন, পাকিস্তান যেভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে উদ্বেগজনক। পাকিস্তান সেই জায়গা, যেখানে অনায়াসে ঘাঁটি গেড়ে জঙ্গিরা ইউরোপে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর ছক কষে।

মিলান উহরিক নামে আর এক রাজনীতিক বলেন, জম্মু কাশ্মীরে যা ঘটেছে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা অন্যের থেকে আসা তথ্যের ওপর নির্ভর করছি, ভারতে প্রকৃত কী হচ্ছে জানি না। ভারতীয় সংসদ কখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব ব্যাপারে নাক গলিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনেনি, আমাদেরও এ ক্ষেত্রে একই অবস্থান নিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা উচিত। মন্তব্য করেন তিনি।