গাজিয়ানটেপ : তুরস্ক ( Turkey )  ও সিরিয়ায় ( Syria ) মৃত্যু মিছিল বেড়েই চলেছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার পার। শুধুমাত্র তুরস্কেই মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি। ভূমিকম্প ( Earthquake )  বিধ্বস্ত দুটি দেশে আহতের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ধরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। রাতের তুরস্কের সেই ছবি তুলে ধরেছেন আমাদের প্রতিনিধি প্রণয় উপাধ্যায়।                             

  
 
তাপমাত্রা নামছে মাইনাসে


সোমবার ভোরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৫০ বার আফটার শক হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। তুরস্কের গাজিয়ানটেপে ২০ লক্ষ মানুষের বাস। সন্ধে হলেই আলো ঝলমল করে যে শহরে, সেখানে এখন মৃত্যুপুরী। ভূমিকম্পের আতঙ্কে শহর কার্যত ফাঁকা। শুনশান রাস্তাঘাট। অধিকাংশ জায়গায় নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। বড়লোক হোক আর গরিব, ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। রাতে তাপমাত্রা নামছে মাইনাসে । তাঁবু খাটিয়ে কোনও রকমে চলছে রাত্রিযাপন। অন্ধকার কাটাতে ভরসা গাড়ির হেডলাইট।                              

সিরিয়া যাচ্ছেন হু প্রধান


টবিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থা হু  ( WHO ) এর কর্মাধ্যক্ষ টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস (WHO Director-General Tedros Adhanom Ghebreyesus  )ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করতে সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। "আমি সিরিয়া যাচ্ছি, যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে , সারা দেশে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী কাজ চলবে"  টুইট করে জানিয়েছেন হু-প্রধান। 


 






অপারেশন দোস্ত



তুরস্কের পাশে দাঁড়াতে অপারেশন দোস্ত চালু করেছে ভারত। এর মাধ্যমে ভারত থেকে উদ্ধারকারী দল, ফিল্ড হাসপাতাল, উপকরণ, ওষুধ ও সরঞ্জাম দুটি দেশে পাঠানো হচ্ছে।  

১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ। আর সোমবারের মহাপ্রলয়ের পরও অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে কেউ জানে না!