বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ছাত্রী রেশাম এবছরই ২১ জুন তাঁর একুশ বছরের জন্মদিনের সকালে তুতো ভাই জামিল মুক্তারের সঙ্গে ড্রাইভে বেরিয়ে ছিলেন। ট্র্যাফিকে অপেক্ষা করছিলেন রেশাম ও তাঁর তুতো ভাই। আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে সালফার অ্যাসিড ছোঁড়ে এক তরুণ।এরপর ২৫ বছরের জন টমলিন নামে একজনকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ।
নিজের সেই বিভীষিকাময় দিনটির কথা, অভিজ্ঞতার কথা ব্লগে লেখা শুরু করেন রেশাম। জানাতে থাকেন তাঁর জার্নির কথা। সেই ব্লগেই রেশাম লেখেন, সেদিন সেই সময় পালাতে চেষ্টা করলে রেশাম দেখেন, তাঁর সমস্ত জামা কাপড় অ্যাসিডে জ্বলে যাচ্ছে। তারপর গাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁরা সাহায্যের জন্যে ছুটোছুটি শুরু করেন। ৪৫ মিনিট বাদে একজনের সাহায্যে স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রায় নগ্ন অবস্থায় তাঁরা যান চিকিত্সার জন্যে। খোলা হয় গো ফান্ড মি নামের একটি ওয়েবসাইট। সেখানেই রেশামার চিকিত্সার জন্যে টাকা তোলা শুরু হয়।
অ্যাসিড হামলায় এমনই অবস্থা হয়েছিল যে রেশাম ঠিক করে চোখ বন্ধ পর্যন্ত করতে পারছিলেন না, মুখ ঠিক করে খুলতে পারছিলেন না। তাঁর তুতো ভাইয়ের জখম আরও গুরুতর। ডান চোখটিও নষ্ট হয়ে গেছে তাঁর।
এটা আগের ছবি
তবে এতটা খারাপের মধ্যে ইতিবাচক কিছুই দেখছেন রেশাম। তাঁর দাবি, জীবনে সবকিছুই ঘটে কোনও একটা বিশেষ কারণেই। তাই এই খারাপের মধ্যে থেকেই ফের জীবনের লড়াইয়ে কীভাবে ফিরতে হয়, সেটাই তিনি শিখলেন।