জিয়ামেনের ৪৩ পৃষ্ঠার ঘোষণাপত্রে চিন, ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা একসুরে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করে পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে ঠাঁই নেওয়া জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির খাড়া করা বিপদ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তালিবান, আল কায়েদা, আইসিসের নিন্দাও করেছে তারা।
কিন্তু পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররম দস্তগীর প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে জানিয়ে দেন, ব্রিকস সম্মেলনের ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান করছি আমরা। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে কোনও সন্ত্রাসবাদীই নিরাপদ আশ্রয় পায় না। উল্টে পাকিস্তান তার মাটিতে সব জঙ্গি গোষ্ঠীকে দমনে ব্যবস্থা নিয়েছে, গুটিকয়েক গোষ্ঠীর অবশেষটুকু রয়ে গিয়েছে।
পরে তিনি আফগানিস্তান পুনর্গঠনের ভারপ্রাপ্ত মার্কিন আইজির রিপোর্ট উল্লেখ করে দাবি করেন, ৪০৭টি আফগান জেলার মধ্যে মাত্র ৫৭ শতাংশ মার্কিন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আফগানিস্তানের একটা বড় অংশই সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ ঘাঁটি।
পরে পাক বিদেশমন্ত্রকের রিপোর্টেও বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থার দাপটে চিন্তিত পাকিস্তানও। এও বলা হয়, পাকিস্তানের মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে তেহরিক ই তালিবান, জামাতুল আহরারের মতো সন্ত্রাসবাদী বাহিনীগুলি। আফগানিস্তানে আইসিস ও আরও নানা সন্ত্রাসবাদী বাহিনী যেভাবে খোলা মাঠ পেয়ে যাচ্ছে, তাতে এই এলাকার নিরাপত্তা, শান্তি বিপদের মুখে। আমরা ওদের নিয়ে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।