লন্ডন: আমেরিকা, সুইত্জারল্যান্ড, মেক্সিকোর পর ভারতের পাশে ব্রিটেনও। ভরসা দিলেন ডেভিড ক্যামেরন। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর (এনএসজি) সদস্যপদের দাবিকে ‘দৃঢ় সমর্থন’ জানানোর ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীকে। গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন ক্যামেরন। আগামী সপ্তাহেই ৪৮ সদস্যের এলিট এনএসজি গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেখানে ভারতের দাবি নিয়ে কথা হতে পারে।


ডাউনিং স্ট্রিটের জনৈক মুখপাত্র বলেছেন,  পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার জন্য ভারতের আবেদনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরমাণু অস্ত্র করা যায় যেসব মালমশলা, যন্ত্রপাতি, সামগ্রী ও প্রযুক্তির সাহায্যে, সেগুলির রফতানি নিয়ন্ত্রণ করে পরমাণু প্রসার ঠেকাতে একযোগে কাজ করে থাকে ওই গোষ্ঠী। ব্রিটেন ভারতের আবেদনকে প্রবল ভাবে সমর্থন করবে, এটা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা একমত হয়েছেন যে, ভারতের উদ্যোগ সফল হতে গেলে এটা জরুরি যে, ভারতকে তার পরমাণু প্রসার ঠেকানোর ভূমিকা জোরদার করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। সামরিক ও অসামরিক পরমাণু কার্যকলাপের মধ্যে পার্থক্য জোরালো ভাবে তুলে ধরতে হবে ভারতকে।

ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক বর্তমানে কোথায় রয়েছে, তা নিয়েও দুজনের কথা হয়েছে। ব্রিটিশ মুখপাত্রটি বলেন, প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেটের সফরের ফলে ও নানা ভাবে  ভারত-ব্রিটেন বোঝাপড়া যে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে, সে ব্যাপারে সহমত হয়েছেন তাঁরা।

ঘটনাচক্রে ২৪ জুন সিওলে এনএসজি-র সম্ভাব্য প্লেনারি বৈঠকের প্রাক্কালে আমেরিকা ইতিমধ্যেই বাকি সদস্য দেশগুলিকে চিঠি দিয়ে ভারতের সদস্যপদের দাবি সমর্থনের আবেদন জানিয়েছে।

আমেরিকা সহ এনএসজি-র অধিকাংশ সদস্য দেশ ভারতের অন্তর্ভুক্তির দাবি সমর্থন করলেও চিন, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রিয়া তার বিরোধিতা করছে।

চিনের যুক্তি, ভারত পরমাণু প্রসার রোধ (এনপিটি) চুক্তি সই করেনি। তারপরও ভারতকে এনএসজি-তে নেওয়া হলে পাকিস্তানকেও সদস্যপদ দেওয়া উচিত।

যদিও ভারত জানিয়ে দিয়েছে, এনএসজি-র সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে এনপিটি-তে সই করা আবশ্যিক নয়। ভারত ফ্রান্সের নজির তুলে ধরছে এ ক্ষেত্রে।