১৩০ জনের বেশি ইমাম, মুসলিম ধর্মীয় নেতা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসলামের মৌলিক নীতির আলোকে আমরা প্রথামাফিক হামলাকারীদের অন্ত্যেষ্টি করব না, অন্য ইমাম, ধর্মনেতাদেরও বলব, তাঁরাও যাতে এ থেকে দূরে থাকেন। এর কারণ, এ ধরনের কাজ কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, ইসলামের মহান শিক্ষা, আদর্শেরও পরিপন্থী।
গত শনিবার লন্ডন সেতুর ওপর হঠাত্ ছুটে আসা বেপরোয়া ভ্যানের তলায় পিষে দেওয়া হয় অনেককে, পাশের বাজারে ছুরি নিয়েও চলে তাণ্ডব। সাতজন প্রাণ হারায়। তবে তিন হামলাকারীও গুলিতে নিহত হয়।
লন্ডন হামলার পর মুসলিম সমাজ ও ধর্মীয় নেতারা তাদের সম্প্রদায় থেকে কট্টরপন্থা দূর করতে দ্বিগুণ প্রয়াস চালাবেন বলে জানিয়েছেন।
সেই সূত্র ধরে মেট্রপলিটান পুলিশ কমান্ডার ম্যাক চিস্তি ডাক দেন, সন্ত্রাসবাদ, উগ্রপন্থা, আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ঘৃণার বোধ রয়েছে, তার মোকাবিলায় ভিন্ন দিশায় নতুন আন্দোলন গড়তে হবে। চিস্তি হলেন সর্বোচ্চ স্তরের মুসলিম পুলিস অফিসার।
এক বিবৃতি পড়ে তিনি বলেন, যে দেশে্ বাস করেন, তার প্রতি অনুগত থাকা প্রতিটি মুসলিমের ইসলামিক কর্তব্য। কী করে আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যেই কিছু লোকের মনে সন্ত্রাসবাদ, ঘৃণার বাস, তা বোঝার চেষ্টা করছি।
হারুন খান নামে একটি মুসলিম সংগঠনের শীর্ষ নেতা লন্ডন হামলায় তীব্র অসন্তোষ জানিয়ে বলেন, কিছু একটা করতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত, পরিস্থিতি বদলাতেই হবে। অনেক হয়েছে।