লন্ডন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দল ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদকে কুপিয়ে খুনের ঘটনাকে জঙ্গি হামলা হিসেবে উল্লেখ করল সেদেশের পুলিশ। 


এদিন ব্রিটিশ পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সাংসদ ডেভিড অ্যামেসকে কুপিয়ে খুনের নেপথ্যে জঙ্গিদের হাত রয়েছে। গতকাল এসেক্সে নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্গত একটি গির্জায় ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন আচমকা অ্যামেসের ওপর হামলা চালানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 


গতকাল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত লে-অন-সি শহরে নির্বাচনী এলাকায় বৈঠক করছিলেন ৬৯ বছরের অ্যামেস। আচমকাই ব্রিটেনের শাসক দলের সাংসদকে ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। 


ব্রিটেনের শাসক দলের সাংসদকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি ছুরি।


পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সন্ত্রাস দমন শাখার নেতৃত্বে হচ্ছে। অ্যামেসের মৃত্যু রাজনৈতিক মহল জুড়ে শোক ও ভীতি সৃষ্টি করেছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার লিন্ডসে হোয়েল বলেন, অ্যামেসের মৃত্যু রাজনীতিতে শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখের দিন। 


প্রায় পাঁচ বছর আগে, নিজের কেন্দ্রেই দক্ষিণ-মনোভাবাসম্পন্ন চরমপন্থীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আরেক ব্রিটিশ সাংসদ জো কক্স। অ্যামেসের ঘটনা সেই স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। একইসঙ্গে, জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে। 


কক্সের বোন কিম লিডবিটার, যিনি এখন নিজেই একজন আইনপ্রণেতা, অ্যামেসের হত্যার ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে বলেছেন যে এর ফলে অনেকের জীবন চিরতরে বদলে যাবে।


ব্রিটিশ রাজনীতিকরা সাধারণত তাদের নির্বাচনী দলের সঙ্গে দেখা করলে তাদের পুলিশ সুরক্ষা দেওয়া হয় না। পুলিশ কর্মকর্তারা আরও জানান যে, অ্যামেসকে সঙ্গে সঙ্গে জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।


গির্জায় নিয়মিত সাপ্তাহিক স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক ও আলোচনা করতেন অ্যামেস। গতকালের বৈঠক নিয়ে তিনি নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টেও জানিয়েছিলেন।