সৌমিক সাহা, কিভ : যুদ্ধ ( Ukraine war ) ধীরে ধীরে এগোচ্ছে ২ মাসের দিকে। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হচ্ছে পরিস্থিতি। যুদ্ধ থামার নাম তো নেই। জমছে লাশের পাহাড়। রক্তাক্ত হচ্ছে ইউক্রেন। রুশ হামলায় ২০৫জন শিশুর মৃত্য হয়েছে, আহত সাড়ে ৩০০-র বেশি, দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার।
এরই মধ্যে ইউক্রেনের লিভে ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। মারিউপোল (Mariupol ) শহরে চলছে লাগাতার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ । সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে বেঘোরে। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল (Ukrainian Prime Minister Denys Shmyhal) বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর মারিউপোলের রক্ষকরা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাবে। তিনি আরও বলেন, মস্কো থেকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে অবশিষ্ট যোদ্ধারা যেন শহর ছেড়ে চলে যান। কিন্তু রুশ আল্টিমেটাম সত্ত্বেও বন্দর শহর ছাড়েনি যোদ্ধারা।
ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, রাশিয়া মারিউপোলকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন যে রাশিয়ান বাহিনী ঘোষণা করেছে যে তারা যে কাউকে ওই শহরে প্রবেশ বা বের হতে বাধা দেবে। পুরো শহরটি দখল করতে মরিয়া রাশিয়া।
মার্কিন নিউজ নেটওয়ার্ক এবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্যামিহাল বলেন, মারিউপোলে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রবিবারের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। "শহর এখনও ধ্বংস হয়নি" তিনি বলেন। "এখনও আমাদের সামরিক বাহিনী ওখানে , আমাদের সৈন্যরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। এবং এখনও পর্যন্ত, তারা এখনও মারিউপোলে আছে।"
২ মাস পরেও যুদ্ধ (War) থামার কোনও লক্ষণ নেই: হামলা অব্যাহত রুশ বাহিনীর। ধ্বংস ইউক্রেনের (Ukraine) অস্ত্র কারখানা। পরমাণু-হামলা চালাতে পারেন পুতিন (Putin), বিশ্বকে সতর্ক করলেন জেলেনস্কি। ধ্বংসস্তূপের মাঝেই এক ইউক্রেন সেনার শেষকৃত্যের সাক্ষী হল ABP আনন্দ।
৫২ দিন হয়ে গেল। যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে। রাশিয়ার আক্রমণে অবাধ ধ্বংসলীলা চলছে বিভিন্ন শহরে। উত্তর ইউক্রেনের চেরনিহিভ শহরে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করেছিল রাশিয়া। তারই জ্বলন্ত নিদর্শন এই শহরের আনাচ-কানাচে। রাশিয়ার হামলায় এভাবেই ইউক্রেনের একের পর এক স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কোথাও কোথাও স্কুলগুলিকে যুদ্ধপিড়ীতদের আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। মারিউপোলের মতো বিধ্বস্ত শহরে স্কুলের মাঠে মৃতদেহ সৎকার পর্যন্ত করতে হয়েছে ইউক্রেনীয় প্রশাসনকে। রাশিয়ার হামলার মুখে ফেব্রুয়ারির গোড়া থেকে এ পর্যন্ত লক্ষাধিক শিশুকে নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে তাদের পরিবার। তবে এরই মধ্যে লিভ-সহ কোনও কোনও শহরে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে ইউক্রেনের শিক্ষা মন্ত্রক।