জেনিভা: রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।


সোমবার, জেনিভায় মানবাধিকার সংগঠনের অধিবেশনের প্রথম দিনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিষদের প্রধান জেইদ রা’দ জানান, দেশে আগত রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত সরকার, তাহলে তা হতাশাজনক হবে।


গত ৫ তারিখ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। ফলে, তাদের বের করে দেওয়া হবে। তিনি আন্তর্জাতিক মহলকে মনে করিয়ে দেন, ভারতের কী করা উচিত, তা কারও শেখানোর দরকার নেই। তিনি যোগ করেন, বিশ্বে ভারতই হল একমাত্র দেশ, যারা সর্বাধিক শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে।


এই প্রেক্ষিতে জেইদ জানান, রোহিঙ্গাদের বের করে করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত, তা হতাশাজনক। বিশেষ করে, এমন একটা সময়ে যখন নিজেদের দেশে হিংসার সম্মুখীন হচ্ছে রোহিঙ্গারা।


রাষ্ট্রসংঘের হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ১৬,৫০০ নথিভুক্ত রোহিঙ্গা মুসলিম ভারতে বসবাস করছেন।  আরও ৪০ হাজার ভারতে অবৈধভাবে রয়েছে। জেইদের দাবি, ভারত যেহেতু রিফিউজি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি, তাই তারা এই মর্মে আন্তর্জাতিক আইন না মানতে বাধ্য নয়।


কিন্তু, তিনি মনে করিয়ে দেন, বিশ্বের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংক্রান্ত সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ভারত। ফলে, ভারত এভাবে দায় ঝাড়তে পারে না। তিনি যোগ করেন, মানবিকতার খাতিরেও ভারত শরণার্থী ফেরত পাঠাতে পারে না।


প্রসঙ্গত, গণহত্যা থেকে বাঁচতে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায় বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ও ভারতে পালিয়ে আসছে। গত কয়েক মাসে বহু হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম সেখান থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।