ওয়াশিংটন: হালে পানি পেল না পাকিস্তান। গত সপ্তাহে নওয়াজ শরিফের দুই বিশেষ দূত মার্কিন সফরে গিয়ে প্রকাশ্যে আফগানিস্তানে শান্তি এলেই কাশ্মীর ইস্যু মিটে যাবে, এহেন সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু কাবুলকে কাশ্মীরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে এক মার্কিন শীর্ষকর্তা বলেছেন, আমরা মোটেই বিশ্বাস করি না, আফগানিস্তানের পরিস্থিতির সঙ্গে কাশ্মীরের সম্পর্ক আছে। এছাড়া কার্যত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সমর্থন করে উরি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অন্য যে কোনও দেশের মতোই ভারতের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ আছে বলে জানিয়ে দিল ওবামা প্রশাসন। উরির ভারতীয় সেনা ছাউনির ওপর সাম্প্রতিক হামলা ‘সীমান্তের ওপার থেকে তৈরি সন্ত্রাসবাদের অকাট্য নিদর্শন’ বলেও স্পষ্ট অভিমত তাদের।

মার্কিন   সরকারের  এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়া  সংক্রান্ত তাদের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি পিটার ল্যাভয়। সচরাচর তিনি সামনে আসেন না, কিন্তু এবার হোয়াইট হাউসের এক সভায় হাজির হয়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে আমেরিকার কাছে ‘সবচেয়ে গতিশীল বোঝাপড়া’ বলে চিহ্নিত করেন তিনি। বিশ্বের দুটি সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ়  করতে ওবামা প্রশাসনের  সফল পদক্ষেপগুলির কথাও বলেন।  তখনই তাঁকে বলতে শোনা যায়, এটা (উরি) সীমান্তপার সন্ত্রাসবাদের স্পষ্ট উদাহরণ। আমরা এই সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করেছি। ভয়াবহ ঘটনা এটি। প্রতিটি দেশেরই আত্মরক্ষার অধিকার আছে। তবে যখন সম্পর্কটা ব্যাপক সামরিক দিকে মোড় নিয়েছে, বিশেষ করে তিন-তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে দুটি দেশ, তখন সংযম, নিয়ন্ত্রণ রাখারও দরকার আছে। তিনি এও বলেন, আগামী দিনে যে কোনও হামলা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করি। সীমান্তের ওপার থেকে আসা জঙ্গি হামলার জবাব সামরিক রাস্তায়ই দিতে হয়, ভারতের এই বক্তব্যও সমর্থন করি আমরা। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘সম্পর্কটা সংঘাতে ভরা’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর থেকে উত্তরণের পথ বের করতে পারেনি ওরা।

ল্যাভয় জানান, চলতি বছরের শেষেই ভারত যাতে পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর (এনএসজি) সদস্য হতে পারে, সেজন্য যাবতীয় প্রয়াস চালাবে আমেরিকা। ২০১৬ সালেই ভারতের এনএসজি-তে অন্তর্ভুক্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি যুক্তি দেন, ভারত ওই গোষ্ঠীতে এলে পরমাণু প্রসার রোধে নয়াদিল্লির নতুন ভূমিকা দেখবে গোটা দুনিয়া।