ওয়াশিংটন: ভিসা আইনকে কড়া করে আউটসোর্সিং রোখা। এই লক্ষ্যে আমেরিকায় হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ পেশ হল বিল। যা আইনে পরিণত হলে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে বলে মত শিল্পমহলের একাংশের।


দেশের তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আশঙ্কার মেঘ। যা ঘনিয়েছে আমেরিকায় পেশ হওয়া একটি বিলের সৌজন্যে। হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ এই বিল পেশ করা হয়েছে ভিসা আইনকে কড়া করে মার্কিন মুলুকে আউট সোর্সিং রুখতে।

নিউজার্সির ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য বিল পাসক্রেল এবং ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ডানা রোহরাবাচারের আনা ওই বিলে বলা হয়েছে, কোনও সংস্থা যদি ৫০ জনের বেশি কর্মী নিয়োগ করতে চায় এবং কোনও সংস্থার মোট কর্মীর ৫০ শতাংশের বেশির হাতে এইচ-ওয়ান বি এবং এল-ওয়ান ভিসা থাকলে, তারা আর নতুন করে এইচ-ওয়ান বি ভিসা থাকা কোনও কর্মীকে নিয়োগ করতে পারবে না।

মার্কিন কংগ্রেস সদস্য বিল পাসক্রেলের দাবি, আমেরিকায় প্রচুর সংখ্যায় দক্ষ ও হাই-টেক পেশাদার তৈরি হচ্ছে। তাঁদের উচ্চ ডিগ্রি রয়েছে। কিন্তু, চাকরি নেই। বিদেশি কর্মীদের এ দেশে এনে এবং তাঁদের কাজ দিয়ে, কিছু সংস্থা ভিসার অপব্যবহার করছে। যার জেরে আমাদের দেশের মানুষ কাজ পাচ্ছে না।
হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ পেশ হওয়া বিল মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয়ে গেলে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। কারণ, বিভিন্ন ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীরা এইচ-ওয়ান বি এবং এল-ওয়ান ভিসা নিয়েই নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য আমেরিকায় কাজ করতে যান।

মার্কিন কর্মী নিয়োগ না করে বেশ কিছু ভারতীয় সংস্থা কম খরচে তাদের দেশের কর্মীদের আমেরিকায় এনে কাজ করাচ্ছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ মার্কিন শিল্পমহলের। আউটসোর্সিং রুখতে আমেরিকার আইনসভার দুই সদস্য, পাসক্রেল এবং রোহরাবাচার, যাঁরা এবার বিল পেশ করেছেন, তাঁরাই ২০১০ সালেও একই ধরনের একটি বিল এনেছিলেন। কিন্তু, সেবার মার্কিন কংগ্রেসে তা পাস হয়নি। এবার সেনেটে বিলটি পাশ হয় কি না, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ভারত।