নিউদিল্লি: করোনার যে ভয়াবহতা দেখছে বিশ্ব, এবারে তার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হল মার্কিন মুলুকে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউতেও এমন দাপট দেখা যায়নি জো বাইডেনের দেশে। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ করোনা আক্রান্তের কোঠা পার করেছে সে দেশ। জানা গিয়েছে মার্কিন মুলুকে কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে রয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।


এই প্রজাতির সংক্রমণ হার অত্যন্ত বেশি। চলতি বছরের জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার। কিন্তু এখন সেই সংখ্যাই পৌঁছে গেল ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৪৩। গত বছরের জানুয়ারিতে সংক্রমণের সর্বোচ্চ শিখর ছুঁয়েছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ন 'মাসের মধ্যে ফের এক লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গেল অতিমারি সৃষ্টিকারী এই ভাইরাস। জুনে সবচেয়ে কম ছিল সংক্রমণ। কিন্তু ছ'সপ্তাহের মধ্যে ১ লক্ষের কোঠা পেরিয়ে গেল কোভিড। 


চিন্তার বিষয় কেবল সংক্রমণ নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে টিকাকরণও চলছে জোর কদমে। প্রাপ্তবয়স্কদের ৭০ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে আমেরিকায়। কিন্তু এরপরও কীভাবে আক্রান্তের এমন উর্ধ্বগতি হচ্ছে, তা এখন ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্বকে। 


বিগত সাত দিনে দৈনিক মৃত্যুও অনেকটাই ভাবিয়ে তুলেছে। জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু'সপ্তাহে মৃত্যু ২৭০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০০ হয়েছে। সে দেশের প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এই সংক্রমণ মূলত টিকা নেয়নি তাঁদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। সে দেশের দক্ষিণ প্রান্তে রোগীর বাড়বাড়ন্ত পরিলক্ষিত হয়েছে। 


আমেরিকাবাসীরা যদি টিকা না নিতে আগ্রহী না হন তাহলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এই সপ্তাহে সিএনএন সংবাদমাধ্যমে সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ডিরেক্টর রচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, "আমাদের মডেল দেখাচ্ছে যে যদি টিকা না নিতে থাকি, ডোজ সম্পূর্ণ না করি, তাহলে হাজার হাজার থেকে এই সংখ্যা লক্ষাধিকে পৌঁছে যাবে।" টিকাকরণের পরও কেন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা এখন চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে।