ওয়াশিংটন:  মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণের পর থেকেই তাঁর নীতি কী হবে, এর প্রভাব ভারতের ওপর কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। শপথগ্রহণের মঞ্চে ট্রাম্পের বক্তৃতা থেকে বিভিন্ন বার্তা ভারতের কাছে এসে পৌঁছেছে, দুশ্চিন্তার মেঘ দেখা গেছে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোতে। তবে আপাতত সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে, আজ রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই আলাপচারিতা থেকে কূটনৈতিক মহলের আশা সর্বস্তরে দু দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।


ট্রাম্পের মঙ্গলবারের সারাদিনের একটি রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফে। সেখানেই জানা গিয়েছে ভারতীয় সময় আজ রাত সাড়ে এগারোটার সময় মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প।





এর আগে মোদী শেষবার ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছিলেন নভেম্বরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের জন্যে লড়াইয়ে যখন তিনি হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদের জন্যে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জানুয়ারির ২০, ২০১৭ প্রেসিডেন্ট পদে শপথগ্রহণ করেন ট্রাম্প।

ওয়াশিংটনে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত নিরুপমা রাওয়ের এই আসন্ন বৈঠক প্রসঙ্গে মন্তব্য, ভারত সরকারের একমুহূর্ত সময় নষ্ট না করে, এই আলাপচারিতাকে দু দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্যে ব্যবহার করা। অথচ সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি এখনও কিছুটা দ্বন্দ্বে রয়েছে, ট্রাম্প পরিচালিত মার্কিন সরকার ভারতের প্রসঙ্গে কী ভাবনা-চিন্তা করছে।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প তাঁর শপথ বক্তৃতায় ভারতের সঙ্গে মার্কিন বিদেশনীতির উন্নতি নিয়ে তেমন আশাব্যঞ্জক কিছু শোনাননি। বরং তিনি মার্কিনবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁদের থেকে হারিয়ে যাওয়া কাজের সুযোগ, ফের তাঁদের ফিরিয়ে দেবেন। এর সঙ্গে তিনি সারা বিশ্বের সামনে ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’ নীতির স্বপক্ষে সওয়াল করেছেন, আর সেটা মোটেই ভারতের জন্যে সুখবর নয়। এমনকি তিনি ভারতের কল সেন্টার কর্মীদের ইংরাজি উচ্চারণকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি।

এছাড়া অভিবাসীদের মার্কিন মুলুকে প্রবেশ রুখতে গ্রিন কার্ড ইস্যু আপাতত বন্ধের ভাবনা রয়েছে ট্রাম্পের। একইসঙ্গে এইচ-ওয়ান বি ভিসার নিয়মকাননের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে চাইছেন তিনি। এরফলে মার্কিন সংস্থাগুলো তুলনায় কম বেতন দিয়ে বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, ভারতীয়রাই সবচেয়ে বেশি এইচ-ওয়ান বি ভিসা ব্যবহার করতেন।