ওয়াশিংটন: রাশিয়াকে আটকাতে সামরিক অভিযান করেনি আমেরিকা (usa)। কিন্তু রাশিয়াকে চাপে ফেলতে কোনও চেষ্টার কসুর করেনি জো বাইডেনের প্রশাসন। একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে পুতিনের দেশের উপর। প্রথমে সুইফট (SWIFT) ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে রাশিয়ার ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে বাদ দিয়ে শুরু হয়েছিল সেই কাজ। তারপরে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবার সেই কাজে আরও একধাপ এগোল আমেরিকা। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল জো বাইডেন সরকার। কোনওরকম উস্কানি ছাড়াই ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ বলে খবর হোয়াইট হাউস (white house) সূত্রের। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার রাতে আমেরিকায় একটি ঘোষণার মাধ্যমে বাইডেন (joe biden) এই ঘোষণা করেন। রাশিয়ার আয়ের একটা বড় অংশ তেল ও গ্যাস রফতানির উপর নির্ভর করে। সেখানে কোপ বসালে রাশিয়ার কোষাগারে ধাক্কা দেওয়া সম্ভব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়ার (russia) উপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে এই ঘোষণা করলেও চাপ হবে আমেরিকারও। আমেরিকা যে পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করে তার দশ শতাংশের কম রাশিয়া থেকে আসে। ফলে এই কারণে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বাজারে বাড়তে পারে জ্বালানির দাম। রাশিয়ার তেল (oil) এবং প্রাকৃতিক গ্যাস (natural gas) দুইয়ের উপরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে আমেরিকার তরফে। তবে এখনই এই নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটছে না আমেরিকার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ইউরোপের দেশগুলি। কারণ আমেরিকার তুলনায় ওই দেশগুলি রাশিয়ার তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। ইউরোপের প্রায় চল্লিশ শতাংশ জ্বালানি তেল আসে রাশিয়া থেকেই। ফলে এখনই ওই পথে হাঁটলে, রাশিয়ার থেকেও বেশি অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে হতে পারে ইউরোপের দেশগুলিকে। যদিও ঘুরপথে রাশিয়াকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে আমেরিকার পথেই হেঁটেছে তাদের সহযোগী ইউরোপের (europe) দেশগুলি। আকাশসীমা বন্ধ করা থেকে বাণিজ্যে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে ইউক্রেনকেও।
রাশিয়-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশ চড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের (bent crude) দাম। ফলে চাপ বাড়ছে বিশ্বজুড়েই। যুদ্ধ বন্ধ না হলে দামের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা ভেবে আশঙ্কায় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় নাগরিকদের ফের পরামর্শ, টুইট কিভের ভারতীয় দূতাবাসের