লাহোর: পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের কাসুর জেলায় ৮ বছরের মেয়েকে বাড়ির বাইরে থেকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় প্রবল বিক্ষোভ চলছে।  গতকাল রাতে শহরের সাদ্দার এলাকায় আবর্জনার স্তূপে মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয় বলে জানান স্থানীয় পুলিশ অফিসার জুলফিকার হামিদ। প্রাথমিক ময়না তদন্তে ধর্ষণের পর মেয়েটিকে ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে তিনি জানান। শিশুকন্যাটির বাবা-মা সৌদি আরবে হজে গিয়েছেন। সে ছিল আত্মীয় পরিজনেদের কাছে।
চার সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে যে লোকটিকে মেয়েটিকে নিয়ে চলে যেতে দেখা যাচ্ছে, তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে মেয়েটির ওপর পাশবিক অত্যাচারের খবর সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়াতেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। থানা লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে মারমুখী জনতা। বিক্ষোভকারীদের হটাতে তাদের দিকে, শূন্যে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। গুলিতে জখম দুজনের মৃত্যু হয় পরে। জনজীবন স্তব্ধ রয়েছে কাসুরে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই।
লাহোর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মনসুর আলি শাহ শিশুকন্যা ধর্ষণ, হত্যার ঘটনাটি নজরে এনে পঞ্জাব সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন। তবে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজে ঘটনাটির তদন্তের ওপর নজর রাখবেন, সব দোষীর সাজা না হওয়া পর্যন্ত নিরস্ত হবেন না বলে জানিয়েছেন।
শাসক দলের নেত্রী পঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে স্বাধিকার প্রস্তাব এনে দাবি করেছেন, গত বছর কাসুরে আরও ১১টি নাবালিকার ধর্ষণ, খুনেও ন্যয়বিচার চাই। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি শোয়েইব মালিক, মহম্মদ হাফিজ ও ওয়াহাব রিয়াজের মতো ক্রিকেট তারকারা ট্যুইট করে মেয়েটির জন্য গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন। বলেছেন, পাকিস্তানে এমন নারকীয় ঘটনা হতে পারে, এটা তাঁরা বিশ্বাস করতে পারছেন না।